সৈয়দ মফিজুল হোদা :বাঁকুড়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামডাঙ্গা এলাকায় কমবেশি ১২ টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। সবমিলিয়ে গোষ্ঠীগুলির সার্বিক সদস্যা সংখ্যা প্রায় ১৫০ জন। স্থানীয় গোষ্ঠীগুলির সদস্যাদের অভিযোগ পুরসভার তরফে গোষ্ঠীগুলিকে দেখাশোনা করার জন্য স্থানীয় তৃনমূল কর্মী অপর্না করকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সেই সুবাদে অপর্না কর স্থানীয় গোষ্ঠীর মহিলাদের কাছ থেকে মাসিক জমা টাকা তুলে ব্যাঙ্কে ও স্থানীয় ডাক ঘরে জমা দেওয়ার কাজ করতেন। একই ভাবে গোষ্ঠীর মহিলাদের নেওয়া ঋণের কিস্তিও জমা দেওয়ার কাজ করতেন ওই মহিলা। স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দাবী মাসের পর মাস ধরে তাঁরা জমা টাকা ও ঋণের কিস্তির টাকা ব্যাঙ্কে ও স্থানীয় ডাকঘরে জমা দেওয়ার জন্যে নিয়মমাফিক অপর্ণা করকে দিয়ে গেলেও সেই টাকা ব্যাঙ্কে বা ডাকঘরে জমা না করে নিজে আত্মসাৎ করে নিয়েছেন ওই মহিলা। বিষয়টি জানাজানি হতেই আজ অপর্না কর নামের অভিযুক্ত ওই মহিলাকে এলাকায় ডেকে পাঠিয়ে গোষ্ঠীর মহিলারা শ্যামডাঙ্গা এলাকায় ঘিরে রেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
খবর পেয়ে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ এলাকা থেকে ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। টাকা ফেরৎ ও অপর্না করের কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন গোষ্ঠীর সদস্যারা। এবিষয়ে অপর্না করের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এলাকার তৃনমূল কাউন্সিলার জানিয়েছেন আইন আইনের পথে চলবে। পুরসভার তরফে বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আস্বাস দিয়েছে। বিজেপির দাবী তৃনমূলের বড় নেতারা চুরির দায়ে জেলে। তাদের কর্মীদের কাছে এই ধরনের প্রতারনা খুবই স্বাভাবিক।