নিজস্ব প্রতিনিধি : ভোটের দিন তাঁর হাতে কি থাকবে হকি স্টিক নাকি ত্রিশূল , সব রেডি আছে। দেখতে পাবেন। যেমন প্রয়োজন হবে সবই প্রস্তুতি আছে। যাকে যেমন ট্রিটমেন্ট করার আমরা করব। এমনই মন্তব্য করলেন শুক্রবার সকালে বর্ধমানের বৈকন্ঠপুর এক নম্বর অঞ্চলের রায় নগরে প্রাতঃভ্রমণে এসে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, দেখবেন আমাদের এই কর্মীরা দাঁড়িয়ে আছে না, ভোট এরাই করাবে। ওই যে নেতারা ভোট করাতো তাদের বাড়ি ঢুকিয়ে দেবো। দিলীপ বাবুর আরও বক্তব্য,যাকে যেমন ট্রিটমেন্ট করার আমরা করব। এখানে অনেক ইঞ্চি, ফুট সাইজের নেতারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তৃণমূলের। ভয় দেখাচ্ছেন চেষ্টা করছেন,লোকেরা হাসাহাসি করছে ওদের নাটক দেখে। বৃহস্পতিবার পুলিশের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষায় আক্রমণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন রিপোর্ট চেয়েছে।
এদিন জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার জানিয়েছেন, তাঁদের পক্ষ থেকে ফুটেজ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে এদিন দিলীপবাবু বলেন, কোন কমিশন, কোন পুলিশ? পুলিশ যদি বেশী প্রভু ভক্তি দেখায় তাহলে বলবো না। থানা জ্যাম করে গোটা রাত রেখে দেবো। তারা পুলিশ, পুলিশের কাজ করুক। আমরা আমাদের কাজ করবো। তারা যদি রাজনীতি করতে আসে তাহলে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করবো। এদিন দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চলে বন্ধ শিল্প সম্পর্কে দিলীপবাবু বলেন, এত দিন বন্ধ করছিল। এখন খোলার দিন এসেছে। আমাদের যে ইস্তেহার আছে তাতে বলা হয়েছে বন্ধ শিল্প কারখানা খোলার জন্য।
মোদীজি, অমিতজি ঘোষণা করে গেছেন, দুটো বড় ফ্যাক্টরী, ইনভেস্টমেন্ট হচ্ছে ডিএসপি তে, এক হাজার কোটি, দশ হাজার কোটি, ডিভিসিতে নয় হাজার কোটি টাকা এবং সার কারখানা পুনরুজ্জীবনের জন্য প্রোজেক্ট রিপোর্ট যাচ্ছে। দুর্গাপুর ব্যারেজের গভীরতা বাড়ানোর জন্য চিন্তা ভাবনা শুরু হয়ে গেছে। রাজ্য সরকার কিছু করেননি, প্রস্তাবও পাঠায়নি। দিলীপবাবু বলেন, মন্ত্রী মেঘওয়ালজি এখানে বসে আছেন। তিনি নিজে পরিদর্শন করছেন ঘুরে ঘুরে। আর রির্পোট পাঠাচ্ছেন। দিলীপবাবু বলেন, শিল্পের গলা টিপে মেরে দিয়েছে। সিপিএম, টি এম সি তারা কি বলবে আর।আমরা চাইবো পশ্চিমবাংলার পরিবেশ পরিবর্তন হোক। যেখানে শিল্প বান্ধব পরিবেশ হোক। সারা ভারতবর্ষে শিল্প আসছে পশ্চিম বাংলায় কেন আসবে না? নিয়ে আসবো আমরা। উল্লেখ্য, এদিন দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত রায়ান স্কুল মোড় থেকে রায়ান দক্ষিণ পাড়া পর্যন্ত দিলীপবাবুর রোড শো ছিল।
কিন্তু সময় পেরিয়ে যাবার পর রোড শো করায় রায়ান দুর্গাতলাতে এদিন রোড শো আটকে দেয় নির্বাচন কমিশন। এই ঘটনায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে চরম বাগবিতণ্ডা শুরু হয় কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে।ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি কর্মী সমর্থকরা কমিশনের প্রতিনিধিদের তৃণমূলের দালাল বলে চিৎকার করে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে উত্তেজনা থামানো হয়।দিলীপ ঘোষ গাড়ি থেকে নেমে চলে যান। যদিও দিলীপ ঘোষের দাবী যে সময় পর্যন্ত অনুমতি ছিলো সেই সময় পর্যন্ত করেছি।কিন্তু বিনা কারনে আমাদের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়।গাড়ি আটকাতে পারে না। অন্যদিকে, বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের বিডিও রজনীশ কুমার যাদবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিদিষ্ট সময়ের পর রোড শো চলায় অভিযোগ আসে,তার পরিপেক্ষিতে আটকে দেওয়া হয়েছে। সবে মিলিয়ে এই মুহূর্তে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের রাজনীতির আবহাওয়া চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।