১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Advertisement

তিহার জেলে খুব ভালো ব্যবস্থা আছে, ভোট হয়ে গেলে আবার যেতে হবে ভিতরে : দিলীপ

নিজস্ব প্রতিনিধি : শনিবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে বর্ধমান টাউন হলে ক্রিকেট খেললেন বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। জানালেন, খেলাধুলা করি, ক্রিকেটও খেলি। কিন্তু হঠাৎ করে বোল্ড আউট হয়ে গেলেন? দিলীপবাবুর জবাব – খেলার মধ্যে হার-জিত আছেই। এদিন সকালে সন্দেশখালির বেড়মজুর এলাকায় তল্লাশির নামে পুলিশের তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ সম্পর্কে দিলীপবাবু জানালেন, এর আগের ফেজগুলোতেও পুলিশকে লাগিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিছু আমাদের কর্মীকে,নেতাকে অ্যারেস্ট করা হয়েছিল। কোথাও কোথাও সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাবার চেষ্টা করা হয়েছিল। এটা বাড়ছে। আমি বলেছিলাম, যত ইলেকশন এগোবে, যত টিএমসি হারবে,হিংসা,পুলিশী অত্যাচার বাড়বে। সেগুলোই দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ মন ঠিক করে নিয়েছেন। তারা ভোট দেবেন, ঠিক জায়গাতেই দেবেন,এটাই টিএমসির ভয়। তাই তারা শেষ চেষ্টাটা করছে কলকাতার আশপাশ,যেটা ওদের কোর এলাকা সেটা বাঁচাবার।

 

Advertisement

 

 

Advertisement

 

আমার মনে হয় এবারে কেল্লাতে ধ্বস নেমে যাবে। কেজরিওয়ালের ওজন বিতর্ক সম্পর্কে দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, ওজন তো বাড়বে যখন পার্মানেন্টলি জেলে থাকবেন। তিহার জেলে খুব ভালো ব্যবস্থা আছে, ভোট হয়ে গেলে আবার যেতে হবে ভিতরে।ওখানকার ট্রিটমেন্ট, মাসাজ সবই আছে ওখানে। সব সুযোগ পাবেন এবং লম্বা সময় ধরে পাবেন, তার অপেক্ষা করুন। শেষ দিনের প্রচারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আপনার নাম করে বলেছেন যে এখানে দাঁড়ালেন না, চ্যালেঞ্জ করলেন অথচ ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়াতে পারলেন না। এর উত্তরে তিনি বলেন, যার দম আছে পশ্চিমবাংলায় যে কোন জায়গায় জিততে পারে। আর যার দম নাই গলি কা কুত্তা তার কি করার আছে। দম থাকলে বেরিয়ে সে লড়ুন, জিতুন। কলকাতায় দাঁড়াতে পারতেন, বর্ধমানে আসতে পারতেন।

Advertisement

 

 

Advertisement

 

 

Advertisement

 

একবার ওনার পিসিমণি গিয়েছিলেন কি দুর্দশা হয়েছে, মেদিনীপুরের লোক নাক কান কেটে দিয়েছে। আর যাবেন না কোথাও। বুঝে গেছেন তাদের দাম কতটা। বাংলার বাইরে কোথাও পা রাখতে পারলেন না। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচা করে একটা এমএলএ, এমপি, একটা পঞ্চায়েতে জিততে পারলেন না। ত্রিপুরায় একটা কাউন্সিলার জিতেছিল। সেও দুদিন পর চলে গেল বিজেপিতে, তো তাদের দাম জানা আছে। আপনে ঘরমে তো কুত্তাভি শের হোতা হে। অন্যদিকে, বর্ধমানের ভোটের পর বিজেপির যারা এজেন্ট ছিল তাদের টাকা পয়সা নিয়ে কোনো একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

 

 

Advertisement

 

এব্যাপারে দিলীপবাবু এদিন সাফ জানিয়ে দিলেন, কেউ কেউ প্রচার করেছেন।যারা আপনাদেরকে সবসময় খবর দেন।এটা পার্টির খবর নয়, এটা কোন খবরই না। এই ধরনের লোক আছে আমাদের পার্টিতেও অনেক দিন ধরে।তারা পার্টিতে ব্ল্যাকমেইল করে পয়সা তোলে,খায়। এবার আর ব্ল্যাকমেইল করে কাজ হচ্ছে না। কারণ এ ধরনের যারা আড়কাটি এজেন্ট, যারা দুদিকে পা রাখে তাদেরকে বিজেপি পাত্তা দেবে না, এদেরকে বাদ দিয়েই বিজেপি জিতছে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় হাতিয়ার, যাদের পাগলামি, যাদের কথাবার্তা কেউ শোনে না, সেইসব অনর্গল কথাবার্তা সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখে।

Advertisement