গলসি ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ওই প্রতিবাদ সভা। এলাকার নয়টি পঞ্চায়েত থেকে হাজার হাজার মানুষ ওই সভায় যোগদান করেন। শুরুতে বাইক মিছিল ও র্যালি করে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলীয় কর্মীরা সভায় যোগদান করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে ওই প্রতিবাদ সভা।
একদিকে রাজ্যের পাওনা, জি,এস,টি ও আমফান ক্ষতির ৫৪ হাজার কোটি টাকা আদায়ের দাবীতে অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার রাস্টীয় সংস্থাগুলিকে বিক্রি করার প্রতিবাদ এবং কৃষক বিরোধী কেন্দ্রের কালা কানুনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে উগরে দিন বক্তারা। জানা গেছে, গলসি ১ নং ব্লকের নব নির্বাচিত ব্লক সভাপতি জনার্দন চ্যাটার্জীর ডাকে ওই প্রতিবাদ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এদিনের বক্তব্য রাখেন গলসি বিধানসভার বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি, গলসি ১ নং ব্লকের কার্যকরী সভাপতি ওমর ফারুক, গলসি ১ নং ব্লকের কো- অর্ডিনেটর ইজহারুল ইসলাম, সভাপতি জনার্দন চ্যাটার্জী প্রমূখ, যুব সভাপতি পার্থ সারথি মন্ডল। তাছাড়া মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সংখ্যালঘুর চেয়ারম্যান জাহির আব্বাস, গলসি ১ নং ব্লকের খাদ্য কর্মাদক্ষ ফজিলা বেগম ছাড়াও এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান ও এলাকার তৃণমূলকর্মীগণ। এদিনের সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গলসি ১ নং ব্লকের যুব সভাপতি পার্থ সারথি মন্ডল।
বিধায়ক অলোক মাঝি বলেন, ইতিপূর্বে দল নেত্রী নির্দেশে মাঠি চাষিদের পাশে দাঁড়িয়ে তারা প্রতিবাদ করছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার নিজের খেয়াল খুশি মত সরকার চালাচ্ছে। এর ফেলে সমস্যায় পরছে চাষি থেকে সাধারণ মানুষ। যে নীতিতে দেশ চালাচ্ছে মোদী সরকার তাতে খুব শিঘ্রই দেশ বিক্রি হয়ে যাবে। নরেন্দ্র মোদী দেশের সমস্ত বড় বড় সরকারি সংস্থাকে বিক্রি করে দিচ্ছেন পুঁজি পতিদের হাতে।
এর পর কৃষকদের অধিকারে হাত দিয়েছেন। যা দেশের পক্ষে খুবই ভয়ানক। একদিন আসবে যখন চাষিদের চাষ করা ধানের চাল চাষিদেরকেই সোনার সমমুল্য দিয়ে কিনতে হবে। কারন পুঁজিপতিরা কালা বাজারি করে খাদ্যশষ্য মজুত রেখে কৃতিম অভাব তৈরি করবে। যার ফলে দেশের সব মানুষ ক্ষতির মুখে পরবে। তিনি বলেন, আর হাত পা গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। আমাদের প্রতিবাদে গর্জে উঠতে হবে।
জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষকে এক যোগে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামতে হবে। ওই কাজে এদিন তিনি এলাকার সকল মানুষকে একত্রিত হওয়ার আহব্বান জানান।