সনাতন গড়াই, পশ্চিম বর্ধমান : উন্নয়নের স্বার্থে রাজ্যের সব সাংসদদের থেকে বেশি খরচ করেছি সাংসদ তহবিলের টাকা জমা থাকা তৃণমূল সাংসদ মমতাজ সংঘমিতা এবং সিপিএম সাংসদ সাইদুল হকের টাকাও খরচ করেছি সব তথ্য তুলে দেবো একদিনের মাথায়,যাযাবর নিজের জন্মভূমিতে ফিরেছে, রায় দেবে জনতা জনার্দন। দিল্লি থেকে আকাশ পথে নিজের কেন্দ্রে অবতরণ করেই তৃণমূলকে নিশানা করলেন পদ্মপ্রার্থী সারিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়া।
নারীদের অপমান, নারী পাচারের মত ভয়ানক ঘটনার অভিযোগ তুলে বলেন বিজেপি এইসব ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। যতবারই লোকসভার প্রার্থী হয়েছেন ততবারই প্রতিপক্ষদের কাবু করেই আসন ছিনিয়ে নিয়েছেন। সেই সুরেন্দ্র সিং আহলু ওয়ালিয়াকে বুধবার আবার টিকিট দিয়েছে গেরুয়া শিবির। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়েছে তাঁকে। বৃহস্পতিতেই দিল্লি থেকে আকাশ পথে অন্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এদিন বিকালে দিল্লি থেকে বিমানে অন্ডাল বিমানবন্দরে নেমে হুটখোলা গাড়িতে চড়ে সমর্থকদের সাথে সড়ক পথে পাড়ি দেন আসানসোল ।
বিমানবন্দরে প্রার্থীকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়, কুলটির দলীয় বিধায়ক অজয় পোদ্দার সহ কর্মী সমর্থক ও পদ্ম দলের নেতারা ।তারপরেই বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হিসেবে তার কাজের খতিয়ান নিয়ে জানান পাঁচ বছরে এলাকার উন্নয়নে ১৭ কোটি টাকা খরচ করেছেন। ওই কেন্দ্রের সিপিএম সাংসদ সাইদুল হক এবং তৃণমূলের সাংসদ মমতাজ সংঘমিতা যে টাকা খরচ করতে পারেননি সেই টাকাও ফিরিয়ে এনে উন্নয়নের কাজে খরচ করেছেন বলে দাবি করেন। এই সমস্ত তথ্য একদিনের মাথায় তুলে দেবেন বলেও দাবি করেন। এদিকে আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহাকে আক্রমণ করে বলেন খামোশ বলে জনতার কন্ঠরোধ করতে নেই মানুষের আওয়াজ শুনতে হয় ।
সুরিন্দর সিং অহলুওয়ালিয়া নিজের প্রসঙ্গেও বলেন, তিনি দার্জিলিং থেকে যখন বর্ধমান দুর্গাপুরের প্রার্থী হয়েছিলেন তখনো নিখোঁজের পোস্টার পড়েছিল কিন্তু মানুষ তাঁকেই চেয়েছিল। যাযাবরের মত বিভিন্ন প্রান্তের ঘুরেছেন। এবার নিজের জন্মভূমিতে ফিরে এসেছেন জনতা জনার্দনই জবাব দেবে।