জয়ন্ত বর্মন :স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাত ধরে নতুন ঘর পেলো গৃহহীন সুধা।
প্রদীপের নিচে অন্ধকার।আলোর সন্ধান দিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।।
পাহাড়পুর অঞ্চল অফিসের পেছনে কয়েক পা এগিয়ে গেলে ষাট উর্ধ্ব সুধা তন্ত্রের বাড়ি। স্বামী গত হয়েছেন ১২ বছর আছে।ছোট ছোট ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার সুধা তন্ত্রের।বছর আটেক আগে হঠাৎ ঘরে আগুন গেলে ছাই হয়ে যায় সবকিছু। পাঁচ বছরের ছোট্ট মেয়েটা আগুনে পুড়ে যায়। হাসপাতালে সাতদিন যমে মানুষে টানাটানি শেষে মেয়েটি মারা যায়।পর পর ঘটনার আকস্মিকতায় ছোট্ট ছেলেটা হয়ে যায় মানসিক ভারসাম্যহীন।গত আট বছরে সুধার অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায়,যেনো নেই রাজার দেশে বাস করেন সুধা। পঞ্চায়েত অফিস থেকে ঢিল ছোড়া দুরত্বে সুধার বাড়ি হলেও,এই কয় বছরে কয়েক খানা টিন,দেড় হাজার টাকা আর তিরপাল ছাড়া কিছুই জোটেনি।নেই পায়খানা ঘর,নেই জলের কুয়া,নেই বসত ঘর,নেই ইলেকট্রনিক সংযোগ।এখনো রাতে কেরোসিনের প্রদীপ জ্বেলে আলোর জোগান দেয় সুধা তন্ত্র।যেনো প্রদীপের নিচেই অন্ধকার।
কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে এই সংবাদ পরিবেশন হলে,নজরে আসে গ্রীন জলপাইগুড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার। সঙ্গে সঙ্গে বিস্তারিত খবর নিয়ে, গ্রীন জলপাইগুড়ি-র পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় মালদার বিখ্যাত সমাজসেবী তথা প্রাক্তন ফুটবলার মাননীয় উৎপল গুহ বিশ্বাস দাদার সঙ্গে।
মালদার বিখ্যাত সমাজসেবী মাননীয় উৎপল গুহ বিশ্বাস দাদার অর্থ সাহায্যে গ্রীন জলপাইগুড়ি-র পক্ষ থেকে সুধা তন্ত্রের জন্য তৈরি করে দেওয়া হয় নতুন ঘর, নতুন ঘাট, বিছানা সেট ও বাসনপত্র।।
বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে মাত্র সাত দিনের মধ্যে এত কিছু পেয়ে খুশি সুধা তন্ত্র। গ্রীন জলপাইগুড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও মাননীয় উৎপল গুহ বিশ্বাস দাদা কে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন সুধা দেবী।