১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Advertisement

লোকসভার ঠিক মুখেই ধর্নায় চাষী

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাব মার্শিবল থেকে তাঁর অংশীদারিত্বকে বাদ দেওয়ার ঘটনায় সুবিচার চাইতে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে ধর্ণায় বসলেন চাষী।

 

Advertisement

 

 

Advertisement

 

মেমারীর ধনুই গ্রামের বাসিন্দা প্রান্তিক চাষী গোপাল চন্দ্র পান

Advertisement

পারিবারিক বিবাদের জেরে সেচের জন্য চালু করা মিনি সাবমার্শিবলের অংশীদারিত্ব থেকে বাদ দেওয়া হয়।

 

Advertisement

 

 

Advertisement

 

গোপালচন্দ্র পান জানিয়েছেন, তাঁর বড়দাদা মহাদেব পানের সঙ্গে অংশীদারে তাঁরা একটি মিনি সাব মার্শিবল বসান। কয়েক বছর আগে তাঁর দাদা মারা যান। এরপর দাদার ছেলেদের সঙ্গে এই জল ব্যবহার চলতে থাকে। কিন্তু চলতি বছরের গোড়ায় তাঁকে বেআইনিভাবে ওই সাব মার্শিবল থেকে তাঁর অংশীদারিত্বকে বাদ দেওয়া হয়। এব্যাপারে তিনি প্রতিবাদ করলে তাঁকে মারধরও করা হয়। এই ঘটনায় মেমারী থানায় সহ ব্লক ও জেলা প্রশাসনের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন।

Advertisement

 

 

Advertisement

 

কিন্তু তাতেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় গত প্রায় ২ মাস ধরে তিনি মেমারী ২নং পঞ্চায়েত সমিতির অফিসের সামনে ধর্ণায় বসেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই তাঁর অংশীদারিত্বকে ফিরিয়ে দেওয়া এবং জলের অভাবে তাঁর ফসলের যে ক্ষতি হয়েছে সেই ক্ষতিপূরণের দাবীতে তিনি জেলাশাসকের অফিসের সামনে ধর্ণায় বসলেন ওই চাষী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর আবেদন মঞ্জুর না হওয়া পর্যন্ত তিনি এভাবেই ধর্ণা চালিয়ে যাবেন।

Advertisement

 

 

Advertisement

 

 

Advertisement

যদিও এই বিষয় নিয়ে এদিন জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি সুনির্দিষ্টভাবে মেমারী থানায় কোনো অভিযোগ জানাননি। প্রথমে মেমারী থানায় এব্যাপারে অভিযোগ জানানো উচিত ছিল। এব্যাপারে মেমারী ২নং পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি গফফর মল্লিক জানিয়েছেন, এর আগে ওনার সমস্যা মিটিয়ে দেবার চেষ্টা করা হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু চলতি সময়ে যেহেতু সকলেই ভোটে ব্যস্ত। তাই ভোট মিটে গেলে ফের ওনাকে নিয়ে বসা হবে। তবে নির্বাচনের মুখে চাষির এই প্রকার ধরনায় বর্ষা প্রশাসনিক দপ্তরের সামনে রীতিমতো মানুষের মনের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে।

Advertisement