তন্ময় চৌধুরী, বাঁকুড়া : স্কুল শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল সিমলাপালে। ঘটনা সোমবার সকালের। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাঁকুড়ার সিমলাপালের উপরশোল গ্রামের শিক্ষক বীরেন্দ্রনাথ সরেনকে (৩৭) স্থানীয় বাসিন্দারা ও পরিবারের লোকজন তার বাড়ি লাগোয়া আম গাছে সোমবার সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। বাসিন্দারা সিমলাপাল থানায় খবর দিলে সিমলাপাল থানার পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ওই শিক্ষকের স্ত্রী মানকু হাঁসদা সরেন দাবি করেন, সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। ওই রায় ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তার স্বামী মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। ওই কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন বলে শিক্ষকের স্ত্রীর দাবি। জানা গিয়েছে, বীরেন্দ্রনাথ সিমলাপাল ব্লকের ভূতশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্মশিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন।
গত ২০১৯ সালে তার কর্মজীবন শুরু হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, মানসিক অবসাদের জেরে ওই শিক্ষক আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিমলাপাল থানার পুলিশ।
ভূতশহর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপস সন্নিগ্রহী বলেন, বীরেন্দ্রনাথ বদলি হয়ে ২০২১ সালে তাঁর স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৪ সালের উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগের প্যানালে ওই শিক্ষকের চাকরি হয়েছিল বলে জানি। তবে আরও খোঁজ নিয়ে দেখছি বলে জানিয়েছেন ওই প্রধান শিক্ষক। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, বীরেন্দ্রনাথ অত্যন্ত মেধাবী, বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সাথে সুসম্পর্ক ছিল বীরেন্দ্রনাথের। কি কারনে এমন ঘটনা ঘটালো তা বুঝে উঠতে পারছেন না ওই প্রধান শিক্ষক।