রাকেশ চক্রবর্তী : কোন্নগর নবগ্রামে গত ৮ এপ্রিল শ্বশুর বাড়ির উঠনে খুন হয় জামাই বাবুসোনা দাস।আদতে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দার বাবুসোনা রাজমিস্ত্রির কাজ করত,কোন্নগরে ভাড়া বাড়িতে থাকতো।ঘটনার দিন সন্ধ্যায় কাজ সেরে শ্বশুর বাড়িতে যায় বাবুসোনা।শ্বশুড়িকে এক যুবকের সাথে
ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলে।শ্বশুড়ি মিনতি দাসের সঙ্গে বিশ্বজিত মন্ডলের সম্পর্ক ছিল সেটা জানতো বাবুসোনা।এ নিয়ে আগেও দুজনের বচসা হয়েছে।বিশ্বজিৎ কে মেলামেশা করতে বারন করত। ঘটনার দিন বাবুসোনা বাড়িতে ঢুকতেই শ্বাশুড়ির প্রেমিক বিশ্বজিৎ তাকে ছুরি মেরে পালিয়ে যায়।বাবুসোনাকে আহত অবস্থায় উত্তরপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করেন।ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষ দর্শী ছিলেন বাবুসোনার শ্বাশুড়ি।পুলিশ তদন্তে নেমে বার বার জেরা করলেও সে কিছু স্বীকার করতে চায়নি।এর পর গত ১৫ মে মিনতি দাস ও তার স্বামী ভুবন দাস কে গ্রেফতার করে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ।কানাইপুর ফাঁড়ির আধিকারিক অনুপ মন্ডল হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন।প্রথমে স্বীকার করতে না চাইলেও টানা পুলিশি জেরাতে ভেঙে পরেন মিনতি।
পুলিশ জানিয়েছে, বিশ্বজিত মন্ডলকে ২১ মে কোন্নগর আর্দশ নগর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বিশ্বজিত মন্ডল আদতে মুর্শিদাবাদ রেজিনগর থানা এলাকার কাশিপুরের বাসিন্দার। কোন্নগর আর্দশ নগরে ঘড় ভাড়া নিয়ে থাকতো।কোন্নগরের একটি মুরগীর দোকানে কাজ করতো।পুলিশি জেরায় বিশ্বজিৎ স্বীকার করে গত তিন বছর ধরে মিনতির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল।মিনতি পরিচারিকার কাজ করতেন।কাজে যাওয়ার নাম করে বিশ্বজিৎ এর বাড়িতে যাওয়া আসা করতেন।
পুলিশ বিশ্বজিৎ কে সাত দিনের হেফাজতে নিয়ে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে চেষ্টা করছে।