নিজস্ব প্রতিনিধি : ভোটের প্রচারে বেরিয়ে সরকারী কর্মচারীর সঙ্গে দিলীপবাবুর কথাবার্তাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রীতিমতো রাজনৈতিক তরজা।
প্রেক্ষিতে উল্লেখ্য,বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধমান শহরের পারবীরহাটা অফিসার্স কলোনীতে প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে এক সরকারী কর্মচারীকে দিলীপ ঘোষ বললেন, সরকারি কর্মচারী? এরাই রিগিং করে। যদিও ওই কর্মচারী তাঁকে জানান, আমরা পুরোপুরি পদ্মে সব। প্রত্যুত্তরে দিলীপবাবু বলেন, ফটো বের হলেই কালকে সাসপেন্ড, কেউ বাঁচাতে পারবে না। বেতন দিদির কাছ থেকে নেবেন ভোটটা আমাকে দেবেন। সরকারী কর্মচারীটি জানান, ২০২৬ সালে তাঁর অবসর। দিলীপবাবু বলেন, রিজাইন করে দেবেন ভোটের আগে, সরকার বানিয়ে তারপরে আমরা ফুলটাইম জব দেবো আপনাকে। ভোটের প্রচারে সরকারী কর্মচারীর সঙ্গে দিলীপবাবুর এই প্রকার কথাবার্তাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে শোরগোল।
এদিন প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে দিলীপবাবুকে তাঁর জন্মদিন উপলক্ষ্যে একজন একটি পেন দেন সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,আমার হাতে তো লাঠি রাখতে সবার ভালো লাগে। রামনবমী নিয়ে তিনি বলেন, পুরো জোস ছিল, তৃণমূলের রামনবমী পালন নিয়ে তিনি বলেন, অনাভ্যাসের ফোঁটা চড় চড় করে। যারা কোনদিন জয় শ্রীরাম বলেনি, রামের বিরোধিতা করেছে, জয় শ্রীরাম বললে জেলে ঢুকিয়েছে, তারা যদি জয় শ্রীরাম বলে আর লোকে বিশ্বাস করবে? লোককে বোকা বানাবার চেষ্টা হচ্ছিল।
তৃণমূলের ইশতেহার নিয়েও কটাক্ষ করেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, যে ডালটা দিল্লি থেকে এসেছিল সেটাও খেয়ে ফেলবো, পাঁচ কিলো চাল পুরোটা লোককে দেয় না, ওরা কি দেবে? যেটা পাচ্ছে সেটাও লোকের কাছে পৌঁছে দিতে পারছে না।
এনআরসি, সিএএ নিয়ে তিনি বলেন, ইউনিফর্ম সিভিল কোর্ড ভারত জুড়ে প্রয়োগ করা হবে না ।
যেগুলো ছাড়া সারা জীবন থাকলেও কিছু করতে পারবে না। কারণ দিল্লিতে সরকার গঠন করতে হবে, দিল্লিতে সরকার গঠন করতে গেলে ২৭২ সিট চাই, সমস্ত বিরোধী মিলে তার আধাও পাবে না। সেই জন্য ওরা জানে কিছু করার নেই তাই যা ইচ্ছা বলে দাও। এর বিরোধিতা আগের থেকেই করে এসেছে। কিছুই করতে পারেনি, তারা ডিলিমিটেশনের বিরোধিতা করেছিল, তারা কেন্দ্র সরকারের যত প্রকল্প আছে, ৩৭০ ধারা হটানোর, তিন তালাখ হটানোর বিরোধিতা করেছিল, কিছু করতে পারিনি, দর্শকের ভূমিকায় ছিল, আগামী দিনেও দর্শকের ভূমিকা থাকবে কাজ হবে।
মুর্শিদাবাদের রামনবমীর শোভাযাত্রায় ইট, পাথর, বোমা মারার চেষ্টা সম্পর্কে দিলীপবাবু নিশানা করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়কে। মোদির রাজ্যে ভারতবর্ষের মিলেমিশা থেকে উন্নতি করতে হবে, সুখে থাকতে হবে, তারা উন্নয়নের সমস্ত সুবিধা পেয়েছেন। কিন্তু মমতা ব্যানার্জির রাজনীতি হচ্ছে হিন্দু মুসলমান ভাগাভাগি করে ইলেকশন জেতা।