১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Advertisement

হাতির হানা ,অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলো

সঞ্জয় ঘটক :গতকাল রাতে গজরাজের হানা গৃহস্থের বাড়িতে ,ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রাত আড়াইটে নাগাদ ।একটি হাতির দল সারেঙ্গা রেঞ্জের তেলিজাত গ্রামে প্রবেশ করে,একটি হাতি হটাৎ তেলিজাত গ্রামে গোলাম রসুল সদ্দারের মাটির বাড়িতে হানা দেয় । গোলাম বাবু পেশায় রাজ মিস্ত্রীরির কাজ করেন ।স্ত্রী ও তিন সন্তান কে নিয়ে সংসার ।গোলাম রসুল সদ্দারের কথায় যে প্রতি দিনের মতো রাত্রে ঘুমোচ্ছিলেন, হটাৎ দেখেন, একটি মাটির দেয়াল ঘরের মধ্যে আমার গায়ে পড়ে যায় আমি উঠতে পারিনি বিছানা থেকে, তারপর দেখি যে হাতির শুঁড় ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে আমার দিকে আসছে ,আমি বাঁচার জন্য চেষ্টা করছিলাম যাতে হাতির শুঁড় আমাকে ধরতে না পারে তার জন্য আমি সরে যাই এবং আমার স্ত্রী যখন ঠাকুরের নাম করতে থাকে তখন হাতিটি সরে যায় আমরা তখন ঘর থেকে বেরিয়ে অন্য ঘরে চলে যাই , হাতে,কোমরে চোট লেগেছে ।পশ্চিম দিকে দিয়ালের অংশের ক্ষতি হয়েছে অন্য দিকে একটি মোবাইল,হেলমেট ও টর্চ লাইট নষ্ট করেছে হাতিটি । অন্য দিকে এই ঘটনার খবর পেয়েই আজ সকালে এলাকায় পৌঁছায় সারেঙ্গা রেঞ্জার সুরজিৎ কুমার মজুমদার । গোলাম রসুল বাবুকে সঙ্গে করে নিয়ে আসেন সারেঙ্গা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ,প্রাথমিক চিকিৎসার পর এক্সরে করে ছেড়ে দেওয়া হয় । গোলাম বাবুর কয়েকটি জায়গায় হাড়ে আঘাত রয়েছে । সারেঙ্গা রেঞ্জার সুরজিৎ বাবুর কথায় আমরা গত কাল রাতে হুলা পাটি নিয়ে হাতির দলটিকে মনিটরিং করছিলাম হটাৎ একটি হাতি গ্রামের দিকে ঢুকে যায় তখন একটি মাটির বাড়ি ভেঙ্গে দেয়, দেয়াল চাপা পড়ে একজন মানুষ আহত হয়ছে । আমরা সকাল বেলায় সারেঙ্গা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসি এবং এক্সরে করে দেখাযায় ওনার বড়ো ধরণের কোনো সেই রকম ক্ষয় ক্ষতি হয়নি কোমরে একটু চিড় ধরেছে ও কাঁধের কাছে একটু চিড় ধরেছে ওটা চিকিৎসা করলে ভাল হয়ে যাবে ।আমাদের মনিটরিং টিম হাতির কাছে রয়েছে আজ আমরা হুলা পাটি নিয়ে মনিটরিং করবো যাতে হাতিগুলো গ্রামের দিকে না যায় এবং ফসলের যাতে ক্ষয় ক্ষতি না করে,জঙ্গল দিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাবার ব্যাবস্থা করছি ।

Advertisement