নূতন ভোরের প্রতিবেদন : ভয়কে জয় করতে শিখতে হবে, চোখে চোখ রেখে কথা বলতে হবে, প্রতিবাদের ভাষা আগুনের মতো হওয়া প্রয়োজন, কোন অপরাধমূলক কাজকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে এমনই প্রতিবাদী ভাষা আজকে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের মহিলা থানার উদ্যোগে এবং বর্ধমান সহযোদ্ধার ব্যবস্থাপনায় জগদাবাদ শশীভূষণ উচ্চ বিদ্যালয়ে স্বয়ং সিদ্ধা কর্মসূচিতে বিদ্যালয় এর ছাত্রীদের বোঝালেন স্বয়ং বর্ধমান মহিলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক কবিতা দাস।
স্বয়ংসিদ্ধা জেলা পুলিশের এমন এক কর্মসূচি যে কর্মসূচির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের কলেজ মহাবিদ্যালয় অথবা সাধারণ মানুষের জন্য বিশেষ করে মহিলাদের জন্য যে কর্মসূচিতে মেয়েদের শেখানো হয় আত্মসম্মানবোধ, সচেতন করা হয় কম বয়সী বিয়ে, অথবা শারীরিক নির্যাতন কিভাবে রোধ করতে হয় কিভাবে প্রতিবাদ করতে হয়, অথবা মোবাইল এর ব্যবহার কেমন ভাবে করব বা বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজ থেকে কিভাবে নিজেকে দূরে রাখা যাবে সবকিছু এই স্বয়ংসিদ্ধা কর্মসূচির মাধ্যমে সচেতন করা হয়।
বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে এই স্বয়ংসিদ্ধা কর্মসূচি জেলা পুলিশের মহিলা থানা করে আসছে পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে সঙ্গে থাকছে বর্ধমান সহযোদ্ধা নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এই কর্মসূচি এদিন জগদাবাদ শশীভূষণ উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো।
অষ্টম থেকে দশম শ্রেণীর ছাত্রীদের নিয়ে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয় দিন।
উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান মহিলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক কবিতা দাস, বর্ধমান সহযোদ্ধার সম্পাদক প্রীতিলতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সহ-সভাপতি ফাল্গুনী দাস রজক সহ জেলা পুলিশের লেডি পুলিশ অফিসার এবং সহযোদ্ধার অন্যান্য সদস্য এবং ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রী পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষিকারা।
এদিন ওই বিদ্যালয়ে এই কর্মসূচি থেকে বেশ কিছু সমস্যা ছাত্রীদের থেকে উঠে আসে যেটা তারা এতদিন ধরে সমাধান না করতে পেরে ভয়-ভীতিতে দিন কাটাচ্ছিল। এদিন তারা একজন পুলিশ অফিসার যাকে বন্ধুর মত কাছে পেয়ে সমস্ত কিছু বিষয়ে জানায় , এবং ওই স্থান থেকেই বেশ কিছু সমস্যা যেটা ছাত্রীদের পারিবারিক অথবা অন্যান্য জায়গা থেকে উঠে এসেছে তা তিনি সমাধান করতে চেষ্টা করেন।
এই ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের মনে একটা সাহস সঞ্চার হয়। এবং তারা জানায় আগামী দিনে তারা সততার সঙ্গে লেখাপড়া শিখে নিজে মানুষের মতো মানুষ তৈরি হবে এবং কোন অনৈতিক কাজকে তারা প্রশ্রয় দেবে না।