১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Advertisement

ভেষজ গাছের ব্যবহার বাড়াতে প্রচার বাঁকুড়ায়

একতা গঙ্গোপাধ্যায়, বাঁকুড়াঃ

যখন দোলের আনন্দে মেতে উঠেছে গ্রামবাংলা তখন সিমলাপাল ব্লকের মাচাতোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য পিনাকী মহান্তি তরুপুর,গাঁড়রা, পাথরডাঙ্গা, রামচন্দ্রপুর, ভালাইডিহা ও নতুনগ্রাম ইত্যাদি শিলাবতী নদীর পাড়ের গ্রামগুলিতে ভেষজ গাছ বাঁচানো ও লাগাতে প্রশিক্ষণ দিতে দেখা যায় বুধবার। জেলার কোন এলাকায় ও কি পরিবেশে কি ধরনে ভেষজ গাছ জন্মায় এবং সে সব গাছের ঔষধি গুনাগুন নিয়ে যুবদের প্রশিক্ষন দিয়ে চলেছেন। কালমেঘ, বাসক, কুলেখাড়া, গুলঞ্চ, তুলসী, আমরুল, নিম, থানকুনি, পিপুল, পুদিনা,ব্রাহ্মী, অশ্বগন্ধা, চিরতা,চড়াল, কালো তুলসী, রাম তুলসী, শতমূলী, অগ্নিশ্বর, রক্তচিতা, দুধরাজ, ফণিমনসা, বনধনে, লজ্জাবতী, বিষকাটালী, নীলকণ্ঠ, আকন্দ, সর্পগন্ধা, বিশলাকরণী, ঈশ্বরীমূল, দাদমর্দন, একাঙ্গি, ভেরেন্ডা, তালমাঘনা, যজ্ঞডুমুর, ভুই আমলা, স্বর্ণলতা ইত্যাদি গাছ এসব এলাকায় জন্মায়।

Advertisement

 

 

Advertisement

 

অ্যালোবেরা ( ঘৃতকুমারী)গাছও অনেকে বাড়িতে লাগান।এসব গাছকে বাড়ি সামনে পতিত জমিতে লাগানো দরকার।এসব ভেষজ গাছ চাষের জন্য বেশি জলের প্রয়োজন হয় না। ঘর মোছা, বাসন ও শাক সবজি ধোয়া জলেই এই চাষ সম্ভব। এগুলির বাজারে চড়া চাহিদা রয়েছে। এই ক্ষেত্রকে আয়ের নতুন সুযোগ হিসাবে গড়ে তোলা সম্ভব। ভারত সরকারের নেহরু যুব কেন্দ্র, বাঁকুড়া এবং পরিবেশবাদী সংস্থা মাই ডিয়ার ট্রিজ এন্ড ওয়াইল্ডস যৌথভাবে এই প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে।পরিবেশবাদী সংস্থাটির সভাপতি সংগীতা ধর বিশ্বাস জানান, গত জানুয়ারি ২৩ থেকে চলে আসা এই শিবিরে প্রাচীন নথী ও লোকাচারে বাংলার ভেষজ গাছের ব্যবহারের যে উল্লেখ রয়েছে সেগুলি নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।অনন্ত চেল জানান যে তিন মাসের এই শিবিরে এসব গাছগাছালী বিপণনের প্রশিক্ষন দেওয়া হয়।ইষা পাল জানান যে এই প্রশিক্ষণে তিনি খুশি।তার বাড়ির সামনে অনেকটা পতিত জমি আছে। সেখানেই ভেষজ গাছের চাষ করবেন।এই শিবিরে ২৫ জন ৬টি গ্রুপে ভেঙ্গে গাছ ও পরিবেশ চেনার কাজ করে।

Advertisement