নূতন ভোরের প্রতিবেদন :একটি সুরেলা কণ্ঠ, যেখানে বলা হয়, ‘আপনার ব্যাংক একাউন্টে কেওয়াইসির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। অবিলম্বে আপডেট করতে এই নাম্বারে পাঠানোর লিংকে ক্লিক করুন’। আপনিও ভয় পেলেন ও সেই লিঙ্কে ক্লিক করলেন। ব্যাস কেল্লাফতে। আপনার একটি ছোট্ট ভুলে আপনার একাউন্ট থেকে কেটে গেল আপনার গচ্ছিত হাজার হাজার টাকা। এই ভাবেই প্রতারণার ফাঁদে পড়ে রোজ এবং প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ টাকা খোয়াচ্ছেন অনেক উচ্চশিক্ষিত মানুষ। এই ডিজিটাল প্রতারণা নিয়ে বারবার সতর্ক করছে কেন্দ্রীয় সরকার ,প্রতিনিয়ত কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে সতর্ক করছে রাজ্য সরকার ।
কিন্তু এতদসত্ত্বেও এক শ্রেণীর মানুষ তাও ভুলের ফাঁদে পা দিচ্ছেন এবং নিজেদের ঘাম রক্ত দিয়ে উপার্জিত অর্থ মুহুর্তের মধ্যে খুইয়ে ফেলছেন। কিন্তু কারা করছে এই ধরনের প্রতারণা? পুলিশের তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে একটি বিশাল গ্যাং। যা পুলিশ মহলে পরিচিত জামতারা গ্যাং নামে। ভারতের সর্ববৃহৎ ব্যাংক স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার ইয়নও নামে একটি অ্যাপ এর সম্পূর্ণ অনুকরণ করে বানানো অপর একটি অ্যাপের মাধ্যমে এই প্রতারণা চলছে সারা দেশজুড়ে। এই অ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো লিঙ্কে আপনি যদি একবার ক্লিক করেন তাহলে প্রতারকরা একটি ওটিপি এর মাধ্যমে আপনার যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে নিজেদের একাউন্টে আপনার যাবতীয় অর্থ স্থানান্তর করিয়ে নিতে পারে। সম্প্রতি দিল্লির ইন্টেলিজেন্স ফিউশন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অপারেশন ইউনিট এমনই একটি গ্যাং কে আটক করেছে যারা প্রায় 8000 মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ লুট করেছে।
এক্ষেত্রে 23 জন গ্রেফতারও হয়েছে। কিন্তু বলা বাহুল্য এই গ্রেফতারের পরও এই প্রতারণার ঘটনা কিন্তু থেমে থাকছে না। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী সারাদেশে রোজ প্রায় 144 জন মানুষ এই ডিজিটাল প্রতারণার শিকার হচ্ছে। কে জানে কাল এর মধ্যে আপনিও থাকবেন না? তাই বিজ্ঞাপনের ভাষা অনুযায়ী, ‘জাগো গ্রাহক জাগো’। সতর্ক থাকুন, সজাগ থাকুন।(সৌজন্যে : সাইবারক্রাইম সচেতনতা পূর্ব বর্ধমান)