ঝর্না গাঙ্গুলী :পরিবেশ সুরক্ষার জন্য গানে উৎসব কলকাতায়
পরিবেশ সুরক্ষার স্বার্থে গানের মেলা।দেশের প্রথম এনভায়রনমেন্টাল মিউজিক উৎসব শুরু হল কলকাতায়। রবিবার ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে মাই ডিয়ার ট্রিজ এন্ড ওয়াইল্ডসের উদ্যাগে ও ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের আর্থিক সহযোগিতায় এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলা থেকে ৯৩ জন শিল্পী সংগীত পরিবেশন করেন বীরভূমের ৩টি বাঁকুড়া ও মুর্শিদাবাদের ১টি করে বাউল দল, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামের ঝুমুর, কোচবিহারের
ভাওয়াইয়া গান দল এই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।ভারত সরকারের নেহরু যুব কেন্দ্রও দেশের প্রথম এই এনভায়রনমেন্টাল মিউজিক উৎসব আয়োজনে অংশ নিয়েছে।এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমির নির্বাহী আধিকারিক শ্রীমতি মুনমুন হোড় সিনহা,তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের যুগ্ম সংস্কৃতি অধিকর্তা, শ্রী গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়,
নেহরু যুব কেন্দ্রের জেলা যুব আধিকারিক শ্রীমতি অন্বেষা ভট্টাচার্য,সংগীতশিল্পী নাজমূল হক,আবৃত্তিকার প্রশান্ত গাঙ্গুলি প্রমূখ।
কলেজ স্কোয়ারের বাসিন্দা অধ্যাপক সনাতন দরিপা জানান এটাএকটা বিরল উদ্যোগ।পরিবেশ সুরক্ষার বার্তা যে গানের মাধ্যমে এতো আকর্ষণীয় ভাবে দেওয়া যায় তা তার কল্পনায় ছিল না।ভারত সরকারের এই উদ্যোগ সফল।চিকিৎসক ও সংগীত শিল্পী প্রভাতী
দাশগুপ্ত জানান, এক কথায় অসাধারন উদ্যোগ ও সাফল্য। এরকম উদ্যোগ জেলায় জেলায় হওয়া দরকার। সংস্থার পক্ষে জানানো হয়েছে গত এবছর ধরে
জেলায় জেলায় ছোট ছোট অনুষ্ঠান করে এই এনভায়রনমেন্টাল মিউজিক উৎসবের প্রচার চালিয়েছেন।সে কারনে সাফল্য এসেছে। রাজ্য জুড়ে গান ও নাটক ইত্যাদির মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য বিজ্ঞান ভিত্তিক চিন্তা ভাবনার প্রসার কাজ করে চলেছে।
নেহরু যুব কেন্দ্র একাজে তাদের পাশে রয়েছে। বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া জেলায় জল সংরক্ষনে গান, গীতিআলেখ্য, নাটককে হাতিয়ার করে সাফল্য পেয়েছি।বাঁকুড়ার প্রায় প্রতিটি গ্রামে নেহরু যুব কেন্দ্রের সঙ্গে প্রচার চালিয়েছে তারা। রাজ্যে ১১৭৩ জন শিল্পী পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনকে সুদৃঢ় ও প্রসারিত করার জন্য গান ও নাটক পরিবেশন করে চলেছেন।তাদের দাবী এটা দেশের প্রথম এনভায়রনমেন্টাল মিউজিক ফেস্টিভ্যাল। তাই তারা মহানগরী কলকাতা থেকেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন।