তিমির কান্তি পতি :গত নভেম্বরেই মাত্র চার বছর ছ’মাস বয়সে ইণ্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নিজের নাম তুলে ফেলেছিল বাঁকুড়ার ঐশানী পাত্র। আর এবার নতুন বছরের শুরুতেই ইণ্ডিয়াস মোষ্ট ট্যালেণ্টেড কিডস্ অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড জিতে নিল সেই ক্ষুদে ঐশানীই। মাত্র এই ক’দিনের ব্যবধানে জাতীয় স্তরের দুই স্বীকৃতির খবরে এখন খুশীর হাওয়া বাঁকুড়া শহরের লোকপুরের পাত্র পরিবারে।
ঐশানীর পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, ইন্দপুরের দুবরাজপুর গ্রামের বাসিন্দা হলেও বর্তমানে তাঁরা বাঁকুড়া শহরের লোকপুর এলাকায় বাড়ি করে থাকছেন। ঐশানী একদম ছোটো থেকেই সবার চেয়ে ব্যতিক্রমী। মাত্র দেড় বছর বয়স থেকে ভালো করে কিছু বুঝে ওঠার আগেই গান আর কবিতা আবৃত্তিতে তার ব্যাপক আগ্রহ। নভেম্বরেই ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নিজের নাম নথিভূক্ত করার পর অতি সম্প্রতি মাত্র ১ মিনিটে কবিতা সহ ১১৪ টি জিনিসের নাম বলে নবভারত রাষ্ট্রীয় জ্ঞানপীঠের তরফে ইণ্ডিয়াস মোষ্ট ট্যালেণ্টেড কিডস্ অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড’ও অর্জন করেছে সে। দু’দিন আগেই সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরুপ ঐ সংস্থার তরফে পাঠানো মেডেল, শংসাপত্র সহ অন্যান্য উপহার সামগ্রী বাঁকুড়ার বাড়িতে এসে পৌঁছেছে।
আদরের লুনার এই সাফল্যে খুশী পাপা অংশুমান পাত্র। খুশী মা সঙ্গীতা পাত্র থেকে মাসি অনিন্দিতা গোস্বামীরা। তাঁদের কথায়, বছরের একদম শুরুতেই আরো একটা প্রাপ্তি। আমরা ‘আনন্দিত, আমরা গর্বিত। সকলের আশীর্বাদ আর শুভেচ্ছায় ঐশানী একজন মানুষের মতো মানুষ হোক, একই সঙ্গে তার এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় থাক এটাই তাঁরা চাইছেন বলে জানান।
আরো একবার জাতীয় স্তরের সাফল্যের খবরে বেজায় খুশী বাড়ির সকলের আদরের ঐশী ওরফে ছোট্ট ঐশানীও। শনিবার মামা বাড়ি ছাতনার লায়েকডিহিতে বসে সে জানায়, খুব ভালো লাগছে। অসংখ্য চকোলেট সহ অন্যান্য উপহার আর সবার প্রচুর আশীর্বাদ পেয়েছে বলেই জানিয়েছে।