১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে আলোচনাসভায় বাধা, অন্যত্র সভা সাধু-সন্তদের

নিজস্ব প্রতিনিধি : শুক্রবার আগাম ঘোষণা ছিল, মিটিং ঘর বুক করেও তৃণমূল প্রভাবিত কর্মচারীদের বাধায় সভা করতে পারলেন না সনাতনী ঐক্য মঞ্চ। এমনকি এদিন কার্যত পুলিশ অশান্তির আশঙ্কায় ঘিরে রাখে বর্ধমান স্টাফ রিক্রিয়েশন ক্লাবকেও। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হল শহর জুড়ে। যদিও পুলিশ এবং তৃণমূল প্রভাবিত কর্মচারীদের বাধা পেয়ে ওই সভাঘরে সভা করতে না পারলেও পরে বর্ধমানের পারবীরহাটার একটি বিয়েবাড়িতে সভা করলেন সাধু সন্তরা।

 

Advertisement

 

 

Advertisement

 

এদিন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের দক্ষিণবঙ্গের দায়িত্ব প্রাপ্ত সুদীপ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, নিয়মমাফিক তাঁরা বর্ধমানের এই কালেক্টরেট স্টাফ রিক্রিয়েশন ক্লাবের সভাঘরকে বুকিং করেন। এদিন বিকাল ৫টা নাগাদ এই সভা তথা সাংবাদিক বৈঠকও ডাকা হয়েছিল। এদিন সভা শুরুর কিছুক্ষণ আগে আচমকাই দেখেন গোটা ক্লাবকে ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। এমনকি এই ক্লাবের কর্মকর্তারা সাফ জানিয়ে দেন কোনো রাজনৈতিক আলোচনার জন্য সভাঘর দেওয়া যাবেনা। আচমকা এই ঘটনায় তাঁরা হতচকিত হয়ে পড়েন। সুদীপ্তবাবু এদিন এই সভাঘর ব্যবহারের অনুমতিপত্র দেখিয়ে জানান, তাঁদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে।

Advertisement

 

 

Advertisement

 

 

Advertisement

 

অন্যদিকে, এব্যাপারে ওই ক্লাবের সহ সভাপতি জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত জানিয়েছেন, এই ঐক্য মঞ্চকে সভাঘর ব্যবহারের কোনো বৈধ অনুমতিই দেওয়া হয়নি। এদিন বিকালে তাঁদের একটি চিঠি দেওয়া হয়। কি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে জানতে চাইলে তাঁরা জানান, কার্তিক মহারাজকে অপমান করা নিয়ে তাঁরা আলোচনা করবেন। জ্যোতিবাবু জানিয়েছেন, যেহেতু এই ক্লাব জেলাশাসকের অফিস ক্যাম্পাসের মধ্যে অবস্থিত এবং বর্তমানে নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু রয়েছে স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা এখানে কোনো রাজনৈতিক সভা করতে দিতে পারেন না।

Advertisement

 

 

Advertisement

 

 

Advertisement

অপরদিকে, এদিন সুদীপ্তবাবু কোনো রাজনৈতিক আলোচনার বিষয় ছিল না বলে জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভক্তদের মার্গ দর্শন করানোর লক্ষ্যে এদিন সাধুরা বক্তব্য রাখতেন। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক আলোচনার বিষয় ছিল না তাঁদের। যদিও সুদীপ্তবাবু এই কথা বললেও এদিন সভায় যোগ দিতে আসা অনন্যা দে জানিয়েছেন, ” এইভাবেই আটকানোর চেষ্টা করছে। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী আমাদের কার্তিক মহারাজ বা সনাতনী সাধুদের আক্রমণ করেছেন। তাই একটা সাধুদের নিয়ে সমাবেশ ছিল। কিন্তু এখানে করতে দেবে না। কারা আটকালো বোঝাই যাচ্ছে নিশ্চয়ই। বর্তমান শাসকই আটকেছে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে আলোচনাসভা ছিলো। সনাতনীদের উদ্যোগে এটা আয়োজন করা হয়েছিল। বিভিন্ন আশ্রমের ভক্তগণ তাঁদেরই উদ্যোগে এই আয়োজন।

Advertisement