সনাতন গড়াই, পশ্চিম বর্ধমান : মুখ্যমন্ত্রীর পিতৃপরিচয় নিয়ে
কু-কথা বলতেই দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শনিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজিরা দিলেন তিনি। চলতি বছরের মার্চ মাসের ২৫ তারিখ দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের চতুরঙ্গ ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃ পরিচয় নিয়ে কু কথা বলে বিতর্কে জড়িয়ে যান। তারপরেই দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় তৃণমূল।
.
এই কু-কথা শুধু মুখ্যমন্ত্রীর সম্মানহানি হয়নি সম্মানহানি হয়েছে সমস্ত মহিলাদের এই অভিযোগ তুলে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানা এলাকার কাজল দাস নামের এক মহিলা দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্গাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শনিবার দুপুরে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজিরা দিতে আসেন তিনি। তারপরেই দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য জেলা বিচারক অসীমানন্দ মন্ডলের এজলাসে হাজিরা দেন। সেখানেই বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের আইনজীবী বিচারকের কাছে পুরো ঘটনা তুলে ধরেন। যদিও সরকার পক্ষের আইনজীবী কোন বিরোধিতা করেননি। তারপরেই সমস্ত দিক বিবেচনা করে বিচারক দিলীপ ঘোষকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেন।
আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,”আমি যেখানেই যাই সেখানেই মামলা দিয়ে স্বাগতম করে আমাকে। এখানেও আমার নামে মামলা হয়েছে। আমার নামে মামলা করে অনেকে বিখ্যাত হতে চায়। আমাকে আবার কষ্ট করে আদালতে আসতে হয়। নির্বাচন কমিশনে একটা অভিযোগ হয়েছিল। তারই জামিন নিতে এসেছিলাম আদালতে।” তৃণমূলের প্রার্থী কীর্তি আজাদ দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছিলেন,”মহিলাদের অপমান করার শাস্তি পাচ্ছে দিলীপ ঘোষ।”
এর জবাব দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,”৪ তারিখের পর দেখা যাবে কে শাস্তি পাবে। যার সাথে দলের লোক নেই সে ডায়লগ মারলে কে শুনবে।” তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন,”গাজন হলে গাজনের বাজনা বাজে। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন বাজনা আর গন্ডগোল দুটোই এক। নির্বাচন কমিশন প্রথম থেকে কড়াকড়ি করছে। যারা গন্ডগোল করতো তারা অনাথ হয়ে যাবে। নির্বাচনের পরে তাদেরও থাকতে হবে। হিসাব হবে তখনই।” তারপরেই দলীয় কর্মীদের ও আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে আদালত সংলগ্ন একটি হোটেলে মধ্যাহ্নভোজন সারেন।”