৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Advertisement

সারা বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতি মঞ্চের উদ্যোগে সম্মাননা প্রদান।

গ্রামবাংলার সুদূর প্রান্ত থেকে সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত কলকাতার বুকে এক ঝাঁক নবীন-প্রবীণ সাহিত্য প্রতিভাকে এক মঞ্চে হাজির করল চাতক ফাউন্ডেশন ও সারা বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতি মঞ্চ৷ প্রদান করল সম্মাননা৷ রবিবার কলেজ স্ট্রিট চত্বরের বেঙ্গল থিওসোফিক্যাল সোসাইটির হল ভর্তি হয়ে গিয়েছিল গুণী মানুষদের সমাবেশে৷ বাংলার বিভিন্ন

জেলা থেকে সাহিত্যের টানে তারা ছুটে এসেছিলেন কয়েক ঘণ্টার জন্য৷ এদিন বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, কবি অনিমা নাথ, তায়েদুল ইসলাম, শেখ মফেজুল, নজরুল ইসলাম, শেখ আবদুল করিম, উৎপল কুমার ধাড়া, দেবিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাবিনা ইয়াসমিন, শিল্পপতি আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ৷ বাংলাদেশ থেকে হাজির হয়েছিলেন শেখ এ সাঈদ ফারসি৷

Advertisement

এদিনের অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন প্রাক্তন সাংসদ ও ‘পুবের কলম’ সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান৷ তাঁকে মেমেন্টো দিয়ে অভ্যর্থনা জানান বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবী আবদুর রাজ্জাক৷ হিন্দু-মুসলিম সব ধর্মের মানুষের এই সমবেত উপস্থিতি তাঁকে মুগ্ধ করেছে বলে জানান আহমদ হাসান ইমরান৷

তিনি বলেন, বাংলার সংস্কৃতি হিন্দু-মুসলিম সমন্বয়ের সংস্কৃতি৷ উভয় সম্প্রদায়ের কবি-সাহিত্যিকদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে যেতে হবে৷ দেশভাগের পর বহু মুসলিম গুণীজন ওপার বাংলায় চলে যান৷ ফলে এখানে এক শূন্যতার সৃষ্টি হয়৷ সেই অবস্থা থেকে সমাজে সাহিত্য-সংস্কৃতির উত্তরণ হচ্ছে৷ মিশন-স্কুলগুলির শিক্ষা আন্দোলনের ফলে শিক্ষা ক্ষেত্রেও মুসলিম সমাজের উত্তরণ ঘটছে বলে তিনি জানান৷

Advertisement

সভাপতির ভাষণে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন বলেন, কেউ দার্জিলিং, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, মেদিনীপুর, কেউ বা চব্বিশ পরগনা…বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে এসেছেন৷ সংস্কৃতির টানে তারা হাজির হয়েছেন৷ সংস্কৃতি বলতে আমরা কী বুঝি? বৃহত্তর অর্থে সংস্কৃতি একটা জীবনচর্যা৷ এটি মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক তৈরি করে৷ এর মাধ্যমে ব্যবধান, অপরিচয় দূর হয়ে যায়৷

এদিনের অনুষ্ঠানে মানপত্র, স্মারক ও উত্তরীয় দিয়ে গুণীজনদের সম্মান জানানো হয়৷ নতুন গতি-র সম্পাদক এমদাদুল হক নূর, আবদুর রাজ্জাক, দীপক কুমার দাস, অজিত কুমার মণ্ডল, সাদের আলি, সাদ শামিন হোসেন, মুহাম্মদ শাহজাহান সেখ, জাহানারা বেগম, ড. সা’আদুল ইসলাম, মইনুল হক প্রমুখকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়৷ এছাড়াও ‘উদার আকাশ’-এর সম্পাদক ফারুক আহমেদ, ড. সীমা রায়, ‘তালাশনামা’ উপন্যাসের লেখক ইসমাইল দরবেশ ও ‘দুই কাঁধের ফেরেশতা’ গল্পগ্রন্থের লেখক গোলাম রাশিদকে এদিন সম্মাননা প্রদান করে সারা বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতি মঞ্চ ও চাতক ফাউন্ডেশন৷ এদিনই আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশিত হয় ‘দুই বিঘা’ পত্রিকাটিও৷

Advertisement

উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ বক্তব্য রাখার সময়ে বলেন, গ্রাম বাংলার সাহিত্য প্রতিভাকে কুর্নিশ জানাতে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে সব সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রীতির সম্পর্ক গড়ে উঠুক।

Advertisement