নিজস্ব সংবাদদাতা : গত ৯ মে বীরভূম সফরে গিয়েছিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলে নব জোয়ার প্রচার কর্মসূচির আওতায় ওই জেলায় দু’দিন ছিলেন তিনি। বীরভূমে থাকাকালীন সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের সঙ্গেই সাক্ষাৎ করেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় তাঁদের অভাব-অভিযোগও শোনেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সেগুলি দ্রুত সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বীরভূম সফরের এক পক্ষকাল কাটতে না কাটতেই শনিবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের তিন বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা, অভিজিৎ রায় এবং নীলাবতী সাহা। তাঁরা জানান, কীভাবে মানুষের স্বপ্নপূরণ এবং কল্যাণসাধন করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
গত ১০ মে পুরন্দরপুরে থাকাকালীন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শহিদ রাজেশ ওরাংয়ের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যাঁরা তাঁকে তাঁদের নানা সমস্যা সম্পর্কে অবহিত করেন। শনিবার সন্ধ্যায় ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্থানীয় বাসিন্দারা বেলঘড়িয়া গ্রামে একটি খেলার মাঠ তৈরির আবেদন জানিয়েছিলেন, সেই দাবি ইতিমধ্যেই পূর্ণ হয়েছে। এখন থেকে শিশু ও যুবরা ওই মাঠে খেলাধুলো করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট গ্রামে এমন অনেক আদিবাসী পরিবার রয়েছে, যে পরিবারগুলির সদস্যরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তপশিলি জাতি শংসাপত্র পাওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। অনুরোধ জানানোর সাতদিনের মধ্যেই স্থানীয় বিডিও তাঁদের জন্য জাতি শংসাপত্র তৈরি করে দিয়েছেন। রাজেশ ওরাংয়ের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহযোগিতাও পাঠানো হয়।’’
ইতিমধ্যেই বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, নীলাবতী সাহার বিধায়ক তহবিলের টাকা খরচ করে আমরা রাজেশ ওরাংয়ের নামে একটি শহিদ বেদী তৈরি করেছি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুসারে, ওই একই জায়গায় আমরা পানীয় জল সরবরাহ এবং একটি হাইমাস্ট আলোরও ব্যবস্থা করেছি। ভড়কাটা এলাকার বাসিন্দারা পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, ওই জায়গায় ইতিমধ্যেই টিউবওয়েল লাগানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
জন সংযোগ যাত্রা চলাকালীনই সতীপীঠ নন্দীকেশ্বরী মন্দির কর্তৃপক্ষ উন্নয়নের আর্জি জানিয়েছিলেন। তৎক্ষণাৎ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ ডা. শান্তনু সেনকে নির্দেশ দেন যাতে তিনি ওই মন্দির চত্বর পরিদর্শন করেন এবং মন্দিরের উন্নয়নে নিজের সাংসদ তহবিল থেকে ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দও করেন।
এত স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রতিশ্রুতি পালনের জন্য শনিবারের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত বিধায়করা সম্মিলিতভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। উন্নয়নের সাম্প্রতিক এই কর্মকাণ্ডগুলিই প্রমাণ করে, তৃণমূল কংগ্রেস সেইসব রাজনৈতিক দলের মতো নয়, যারা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়। তৃণমূল কংগ্রেস সর্বদা জনকল্যাণে ব্রতী এবং তারা তাদের নেতাদের দেওয়া সমস্ত প্রতিশ্রুতি পালন করে।