৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Advertisement

ওনার গায়ে এত পাপ লেগে আছে, কেউ স্পর্শ করবে না ; দিলীপ

নিজস্ব প্রতিনিধি : এদিন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী দিলীপ ঘোষ প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বাজেপ্রতাপপুর বাজারে আসেন চা খেতে। এবং সেখানেই এই মন্তব্য করেন তিনি।

 

Advertisement

 

 

Advertisement

 

তবে এদিন এক অন্য চিত্র লক্ষ্য করা যায়, প্রতিদিনের মত এদিনও দিলীপবাবু আগাম ঘোষণা করেই প্রাতঃভ্রমণে বের হন বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুর বাজারে। কিন্তু তাঁকে রিসিভ করার জন্য ছিল না কোনো বিজেপি ছোট বড় নেতাই। অগত্যা দিলীপবাবু বাজেপ্রতাপপুর বাজারে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে কাটোয়া রোড ধরে এগিয়ে যান হটুদেওয়ান এলাকায়। কিন্তু রাস্তায় তাঁকে রিসিভ করার জন্য হাজির ছিল না কোনো নেতাই। এরপর ফের ফিরে আসেন বাজেপ্রতাপপুর বাজারে উড়ালপুলের কাছে। সেখানে গাড়ি থেকে নেমে তিনি উড়ালপুলের তলা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে যান বর্ধমান ষ্টেশনের ৮নং প্ল্যাটফর্মে। সঙ্গী তাঁর মেদিনীপুর থেকে আসা ৩জন আর নিরাপত্তারক্ষী। এই অবস্থায় দিলীপবাবু যখন ৮নং প্ল্যাটফর্ম এলাকায় ঘুরে বেড়ালেন সেই সময় তাঁকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূলের টোটো ইউনিয়নের সদস্যরা কেউ কেউ আওয়াজ তুললেন দিলীপ ঘোষ গো ব্যাক। কেউ কেউ বললেন, ‘জয় বাংলা’। কেউ কেউ বললেন গরুর দুধে সোনা খুঁজছে দিলীপ পাগল। যদিও এরই মাঝে দিলীপবাবু বললেন ‘চুপ কর পাগলা’। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনা যখন ঘটেছে তখন দিলীপবাবুর পাশে নেই কোনো বিজেপি কার্যকর্তা। এমনকি এই এলাকার মণ্ডল সভাপতিরও দেখা মেলেনি।

Advertisement

 

 

Advertisement

 

 

Advertisement

জানা গেছে, দিলীপবাবু বাজেপ্রতাপপুর এলাকায় আসার পর এই এলাকার বিজেপির একাধিক নেতাকে ফোন করা হলেও কাউকেই পাওয়া যায়নি। অনেকেরই ফোন বন্ধ ছিল। কেউ কেউ ফোন তোলেননি। ফলে কার্যত এদিন রীতিমত ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন দিলীপবাবু। ৮নং প্ল্যাটফর্ম থেকে বেড়িয়ে তিনি ফের বাজেপ্রতাপপুর বাজারে আসেন চা খেতে। অন্যান্য ক্ষেত্রে তাঁর জন্য চায়ের দোকান লাগোয়া চেয়ার টেবিল পাতা থাকলেও এদিন তার কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। বাধ্য হয়েই একটি চায়ের দোকানের বেঞ্চে বসে পড়েন দিলীপবাবু। তাঁর একজন সঙ্গী ছুটে গিয়ে নিয়ে আসেন এদিনের খবরের কাগজ। তাতেই চোখ বোলান ক্ষুব্ধ দিলীপ। গো ব্যাক স্লোগান শুনতে হওয়া সম্পর্কে দিলীপবাবু বলেন, দু চার পিস আছে, পেটে লাথ পরেছে তো এবারে। ৪ তারিখ অবধি সব আওয়াজ ঠান্ডা হয়ে যাবে।

 

Advertisement

 

 

Advertisement

 

কারণ এই যে লুটপাট চলছে, ওরা জানে আমি জিতলে এসব বন্ধ হয়ে যাবে। তাই কোথাও কোথাও ঘেউ ঘেউ করছে সকালবেলায় একটু। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, বিজেপির ক্ষমতা নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চুল স্পর্শ করার। এব্যাপারে দিলীপবাবু বলেন, না না,ওনাকে স্পর্শ করবো কেন? উনার গায়ে এত পাপ লেগে আছে কেউ স্পর্শ করবে না। ওনাকে সরাবো আমরা ওখান থেকে। যাতে আর অপরাধ, অন্যায় করতে না পারেন। পশ্চিমবঙ্গকে অপরাধে ভরিয়ে দিয়েছেন। অন্যায়,দুর্নীতিতে ভরিয়ে দিয়েছেন। সেই জন্য ওনাকে বিদায় করতে হবে। সম্মানের সাথে।

Advertisement

 

 

Advertisement

 

 

Advertisement

কি খাবো না খাবো বিজেপি ঠিক করছে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে দিলীপবাবু বলেন, কি খাই কাউকে বলার দরকার নেই। ওনারা কি খান? খালি কাটমানি আর তোলাবাজি করে। কাটমানি যারা খায় তাদের কি খাওয়া বাকি আছে। আর আমরা কাটমানি খাওয়াও বন্ধ করব। মেদিনীপুর ছেড়ে বর্ধমানে প্রার্থী হওয়া মমতার কটাক্ষের জবাবে তিনি বলেন, আমি ওনাকে বলে দিচ্ছি, উনি কেন গেছিলেন মেদিনীপুরে কান মোলা খেতে, নাকে ঝামা দিয়েছে। দিলীপ ঘোষ এখানে এসেছে জিততে, উনি তো হেরে এসেছেন। মেদিনীপুরের লোকজন ভালো করে দিয়ে দিয়েছে ট্রিটমেন্ট করে। আর কোনো দিন মেদিনীপুরে দাঁড়াবেন না।

 

Advertisement

 

 

Advertisement

 

দিলীপ ঘোষ পশ্চিমবাংলার যেকোনো জায়গায় জিততে পারে, আর বর্ধমানে জিতে দেখাবে। মুখ্যমন্ত্রী কোনদিন কোন হিসেব দেখাতে পারেননি বলে জানান তিনি,এই যে ২ লক্ষ ২৮ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রের টাকা হিসাব দেন নি। আলুওয়ালিজি পাই পাই হিসাব দিয়ে প্রেস ডেকে বলে দিয়েছেন। দম আছে ওনাদের? একজন এমপি দেখাক, সব লুটপাট করেছে। সেই জন্য মমতা ব্যানার্জি বড় বড় কথা বলবেন না। বড় কথা বলার দিন চলে গেছে, এখন হিসাব দিতে হবে আর হিসাব আমরা নেবোই। ওনার পশ্চিমবাংলার লোক ওনার টিকিটে দাঁড়াতে চায়না, পয়সা দিলেও দাঁড়ায় না। তাই গুজরাট থেকে, বিহার থেকে লোক আনতে হয়, উনি বড় বড় কথা বলছেন কেন।

Advertisement