প্রীতিলতা বন্দ্যোপাধ্যায় :বাঁকুড়ার পটচিত্র, পটের গান, তুসু,রাইবেশে, দেশাত্মবোধক ও আদিবাসী নৃত্যের এক অভিনব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হোল বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়ে।কেন্দ্রীয় সরকা রের আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসাবে বাঁকুড়া নেহরু যুব কেন্দ্র আয়োজিত যুব উৎসবে দলগত জেলার ঐতিহ্যপূর্ন সাংস্কৃতিক আঙ্গিকগুলি নিয়ে অনুষ্ঠান মঙ্গলবার পরিবেশিত হয়। চন্ডীদাসের সৃষ্টি ও তার বানী “সবার ওপর মানুষ সত্য” তুলে ধরে এক আকর্ষনীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে যুবরা।
সারা দিন ধরে এরকম চমক দেওয়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখা যায়। এই অনুষ্ঠানে যুবদের অংশগ্রহন এবং উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। যুবদের হিন্দি ও ইংরাজিতে কবিতা লেখা, মোবাইলে ছবি তোলা, অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল।জেলার ব্লকগুলি থেকে বাছাই করে প্রতিযোগী আনা হয়েছিল এই জেলা যুব উৎসবে।বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও খাতড়া মহকুমার থেকে প্রতিযোগী ও বিচারকেরা এসে ছিলেন।সারাদিন ধরে চলে এই প্রতিযোগিতা।
এই যুব উৎসব সফল করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল বাঁকুড়ার গান্ধী বিচার পরিষদ, জাতীয় ক্রীড়া ও শক্তি সংঘ, বাঁকুড়া প্রীতি, ক্রীশ্চান কলেজ, সম্মিলনী কলেজ, থিয়েটর একাডেমি বিষ্ণুপুরের মল্লভূম যোগ একাডেমি ও মা’ই ডিয়ার ট্রিজ এন্ড ওয়াইল্ডসের মত জেলার প্রথম সারির সংস্থাগুলি। জেলার প্রথমশ্রেনির যোগ ও ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান বাঁকুড়া প্রীতির কর্ণধার বাসন্তী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অনুষ্ঠানস্হলে বসে কবিতা লেখাতে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায় যুবদের। মা’ই ডিয়ার ট্রিজ এন্ড ওয়াইল্ডসের সম্পাদিকা ঝর্না গঙ্গোপাধ্যায় জানান যে জেলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার এক নজির সৃষ্টিকারি প্রচেষ্টা।
এ প্রেক্ষিতে উল্লেখ্য জেলার সাংস্কৃতিক আঙ্গিনায় ও লোকসংস্কৃতি সমীক্ষায় এই সংস্থার বিশেষ অবদান রয়েছে।একই কথা বলা হয় থিয়েটর আকাদেমির পক্ষ থেকে। জেলার লোক সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও অগ্নি যুগের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা। আজাদি কা অমৃত মহোৎসব যুবদের মধ্যে দেশপ্রেম বাড়াবে বলে জানান বক্তরা।এই অনুষ্ঠানটি যুব আধিকারিক অন্বেষা ভট্টাচার্য পরিচালনা করেন। সংহতি ও সম্প্রীতির বেদিমূলে নিবেদিত এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগের প্রশংসা করতেও শোনা যায় ছাত্রছাত্রী ও বক্তাদের।এক কথায় অনুষ্ঠানটি ছিল সুপরিকল্পিত।