নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান, ৩১ মে – আর হাতে মাত্র ৩দিন। তারপরই ভাগ্য গণনা। তার আগে শুক্রবার স্ট্রংরুমের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তিনি জানান, স্ট্রং রুম দেখলাম। ব্যবস্থা ঠিকঠাক আছে। গণনার প্রস্তুতির কাজ হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী পাহারা দিচ্ছে। এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী সম্পর্কে মদন মিত্রের হুমকি প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, উনি জানেন না কেন্দ্রীয় বাহিনী কী করতে পারে। যা হাতে আছে সব চালাতে পারে। গতবারে দেখেছেন। সেখানে এখান উলটো পালটা বকে কোনও লাভ নেই। কাউন্টিং হয়ে যাক সব হিসাব হয়ে যাবে।
অন্যদিকে, মদন মিত্রের দমদম দাওয়াই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনি এখনো আছেন? এরকম বলে উনি বেঁচে আছেন, সেটা দেখাবার চেষ্টা করেন। মদন মিত্র কি বললেন তাতে পশ্চিমবঙ্গের লোকেদের কিছু যায় আসে না। পশ্চিমবাংলা এবারে ভোট দিচ্ছে পরিবর্তনের জন্য। মোদিকে প্রাইম মিনিস্টার করতে হবে তার জন্য সবচেয়ে বড় যোগদান আমরা এখান থেকেই করব। আর সেই দিশাতেই ভোট হবে। ওখানে যে বাই ইলেকশন হচ্ছে সেটাও আমরা জেতার মতন জায়গায় আছি।
আর সেজন্য আমি জানিনা ওখানে বাকি নেতারা গেছেন কিনা। টিএমসি তো রাস্তায় নামতে চাইছে না। মদন মিত্রের মতো লোক গেলে কি আর ভোট জেতা যাবে? না ওর বক্তব্য দিলে কোন লাভ হবে। শুক্রবার সকালে খড়দহে বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে সাদা থান রাখা সম্পর্কে দিলীপবাবু এদিন বলেন, এসব দিন পার হয়ে গেছে। এসব করে কিছু হয়না। দেখেছেন তো এতো করার পরও পুরোপুরি ভোট হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। কালকেও তাই হবে। তিনি জানান, কাল নয়টা কেন্দ্রের ভোটেও বিজেপির যেরকম সব জায়গাতে এগিয়ে থাকছে,এখানেও এগোবে। বরং টিএমসির কাছ থেকে কয়েকটা আসন আমরা ছিনিয়ে নেব এখানে।
সজল ঘোষের কথায় তো এখন অনুব্রতের কথা, ভোটে বাধা দিলে চড়াম চড়াম হবে, গুড় বাতাসা হবে প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, যারা যে ভাষাতে বোঝে, সেই ভাষাতেই তো বলতে হবে। উনি যদি ওখানে গিয়ে প্রবচন দেন কে শুনবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন বরাহনগর উপনির্বাচনে আসন সেটিং হয়ে গেছে যে কটা ভোট সিপিএমে পড়বে সে কটাই চলে যাবে বিজেপিতে। এর উত্তরে দিলীপবাবু বলেন, এসব বলে আর বাঁচতে পারবেন না উনি। বিজেপির সাথে অন্য কারো সেটিং করার দরকার নেই। ও আমরা একা একাই লড়াই করে জিততে পারি। সব জায়গায় সেটা করে দেখাবো এবারে।