১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Advertisement

৪২ ডিগ্রিতে ORS মেশানো জল খেয়ে শরীর সতেজ রাখছে হরিণের দল..

সনাতন গড়াই, পশ্চিম বর্ধমান : ‘সর্বনেশে গ্রীষ্ম এসে বর্ষ শেষে রুদ্ররূপে, আপন ঝোঁকে বিষম রোখে আগুন ফোঁকে ধরার চোখে।’ কবি সুকুমার রায়ের ছন্দই মিলছে আকাশে বাতাসে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা বইছে লু। কার্যত গৃহবন্দি আমজনতা। পর্যটকদেরও দেখা নেই। জঙ্গলের পশু পাখিরাও গভীর জঙ্গলের ভেতর শীতল জায়গা আশ্রয় নিচ্ছে।

 

Advertisement

 

 

Advertisement

জঙ্গলের জলাশয়গুলিতেও ভিড় জমাচ্ছে তাঁরা। কাঁকসার দেউলের সংরক্ষিত রিজার্ভের ভেতর রয়েছে প্রায় ১০০হরিণ, ৫০০র অধিক ময়ূর, একাধিক নীল গাই, সজারু এবং বহু বিরল প্রাণী। বছরের অন্যান্য সময় সারাদিনই দেখা মেলে ওদের। ওদের দেখতে পেয়ে আনন্দ উপভোগ করেন দুর দূরান্তের পর্যটকরাও।

 

Advertisement

 

 

Advertisement

সূর্যের অস্ত গেলে হাতেগোনা কয়েকজন পর্যটককে দেখা গেলেও দাবদহের মাঝে কোন পর্যটককেই দেখা যাচ্ছে না। এই দাবদহে অসুস্থ যাতে হয়ে না পড়ে বন্য জীবজন্তুর সেইজন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে বর্ধমান বনবিভাগের দুর্গাপুর বনাঞ্চল।

 

Advertisement

 

 

Advertisement

দুর্গাপুর বনাঞ্চলের বনাধিকারিক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”প্রতিদিন সকালে এবং বিকেলে সংরক্ষিত রিজার্ভের ভেতর হরিণদের খাওয়ানো হচ্ছে ওআরএস। দুপুরে দেওয়া হচ্ছে কাঁচা,শাক,সবজি তরমুজ।

 

Advertisement

 

 

Advertisement

 

বনদপ্তরের চিকিৎসকাও দিনে অন্তত একবার করে হরিণদের দেখভাল করছেন। জঙ্গলের ভেতর ডাল, পাতার ছাউনি করে শীতল জায়গা তৈরি করা হয়েছে। বনদপ্তরের সংরক্ষিত রিজার্ভ ছাড়াও গোটা জঙ্গলেই বেশ কয়েকটি জায়গায় জলের সাথে ওআরএস মিশিয়ে রাখা হচ্ছে। সেই ওআরএস মেশানো জল খাচ্ছে ময়ূর থেকে বহু পাখি।”

Advertisement