নিজস্ব প্রতিনিধি : এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলসিতে জনসভায় তার বক্তব্যে বলেন, আমরা তাদের লক্ষ্য, তারা হয় আমাদের কারাগারে ঢোকানোর চেষ্টা করছে অথবা হত্যা করছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন বিজেপি প্রার্থী বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের দিলীপ ঘোষ জানান, কারাগারে তো ঢুকতেই হবে ,দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী যেতে পারে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী যেতে পারে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী যদি জেলে যেতে পারে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কেন যাবেন না, তিনি রাজ্যে বড় স্ক্যাম করেছেন সময়ের অপেক্ষা। শুরু হয়ে গেছে তার পতন।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এখানে বিজেপির প্রার্থী খড়্গপুরের সাংসদ ছিলেন কিন্তু তার দল তাকে মেদিনীপুরের টিকিট দেয়নি, সে আমাদের গালি গালাগালি করতে থাকে, প্রত্যুত্তরে দিলীপ বাবু বলেন উনিও তো নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন কেমন ছ্যাকা খেয়ে এসেছেন ভুলে গেছেন মেদিনীপুরের লোক দিয়েছে না ক্ষত সেই জন্য দিলীপ ঘোষ সারা বাংলায় রাজনীতি করে সংগঠন করে বর্ধমানের কর্মীরা আমার সঙ্গে আছেন। এদিন দিলীপ ঘোষ মনোনয়নপত্র জমা করেন মেহেদী বাগানের সংলগ্ন জোড়া মন্দিরের সামনে থেকে বেরিয়ে পদযাত্রা করে মনোনয়নপত্র জমা করেন, সেই বিষয়ে তিনি বলেন বর্ধমানের কর্মীরা আমার সঙ্গে আছেন এদিন তারা যা উন্মাদনা দেখিয়েছে তার অধিক ভোটে জেতাবেন আমাকে। টিএমসি নিজের ঘর সামলাক। তাদেরকে ভাগলপুর থেকে কেন ক্যান্ডিডেট আনতে হল তার উত্তর দিন আগে। মুখ্যমন্ত্রী ভাতারের সভায় বলেছেন,কেন্দ্রীয় সরকার চাকরি দিচ্ছে না বাংলা যে চাকরি দিচ্ছে তা খেয়ে নিচ্ছে, দিলিপবাবু বলেন চাল, ডাল, ত্রিপল, শিক্ষা দপ্তরে চাকরির সব বিক্রি করেন ওরা দেন না ওরা বিক্রি করতে জানেন। তিনি বলেন যে, লোকগুলোর চাকরি গেছে তার নেতারা তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন সেই টাকাগুলো ফেরত দিয়ে দিন না হলে ওদেরকে সঙ্গে নিয়ে সেই নেতার বাড়ি যাবো আর কলার ধরে চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড় করাবো।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বলেন বাচ্চারা ভুল করে, সত্তর পচাত্তর বছরের একজন মহিলা কি করে বলতে পারেন ভুল হয়েছে, সারা জীবন ভুল করলেন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, জীবনে ঠিক কিছু তো করুন একটা আপনার পার্টির সবাই ভুল করছেন লক্ষ লক্ষ লোক কোটি কোটি টাকা রোজগার করছেন। ধরা পড়ে গেলে ভুল, আর দিব্যি খাচ্ছিলেন চোখ দেখাচ্ছিলেন।
স্কুলের শিক্ষক না পাওয়া নিয়ে মমতা বক্তব্যের জবাবে দিলীপবাবু বলেন আমরা তো পড়াতে রাজি আছি, আমরা যদি পড়াই এরকম চোর তৈরি হবে না।
তিনি আরো বলেন হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকারের সুপ্রিম কোর্ট যাওয়া নিয়ে তার বক্তব্য হাইকোর্টে এর আগে ওনারা গেছেন থাপ্পড় খেয়ে এসেছেন এবার দুই গালে থাপ্পড় খাবেন এবং তার সঙ্গে এটাও হবে যারা পয়সা নিয়েছে তাদের কেউ জেলে যেতে হবে সময়ের অপেক্ষা।