১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Advertisement

কোথাও কোন কর্মকর্তা ছিল না সবটাই কি আমি করব : দিলীপ ঘোষ

নিজস্ব প্রতিনিধি : মঙ্গলবার সকালে বর্ধমান টাউন হলে প্রাত ভ্রমণে বেরিয়ে বিজেপি কর্মীদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে এমনটাই জানালেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।

 

Advertisement

দিলীপ বাবুর বক্তব্য,

দিনভর ঘরে বসে নেতারা মেসেজ করেছে, মাঠে তাদের দেখা যায়নি।

Advertisement

কোথাও কোনো কর্ম কর্তা ছিল না সবটাই কি আমি করবো। আমার খালি প্রেসিডেন্ট নয়, সবার জন্য বিশেষ করে টাউনের কর্মীরা ফোন করছে, এই হয়েছে, তাই হয়েছে। আর মাঠে কাউকে দেখতে পাইনি। তোমরা বাড়ি থেকে বসে মেসেজ করছো। কিছু লোক আছে ফাঁকিবাজ এরকম। স্পটে না থেকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু গ্রামের সব কার্যকর্তারা মাটি আঁকড়ে পড়েছিল। ঝান্ডা, পোস্টার শুধু বিজেপিরই ছিল আর কারো নয়। এই ঘটনায় জেলা সভাপতি বদলের দাবী আবারও জোড়ালো হয়ে উঠেছে। এব্যাপারে তাঁর উত্তর, কি বদল হবে এটা আমার দেখার কাজ নয় এটা সংগঠন দেখে। গোটা কেন্দ্র জুড়ে সব বুথে বিজেপির এজেণ্ট দিতে না পারা প্রসঙ্গে দিলীপবাবু এদিন বলেন, টিএমসিরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে এজেন্ট দিতে পারেনি। আমরা দিতে পারিনি জানতাম, কিন্তু ম্যাক্সিমাম জায়গায় দিয়েছি।কিন্তু একদম বুথ মুখ সমান সেখানে কেউ বসতে রাজি হয়নি। কারণ তারপর তাকেও মারবে। বাকি সব জায়গায় ছিল। ভোট সব জায়গায় হয়েছে। পিসফুল সব জায়গায়। অনেকেই বলছেন, সোমবার তৃণমূলের পরিকল্পনা ছিল দিলীপ ঘোষকে একটি জায়গায় আটকে রাখা। এব্যাপারে দিলীপ ঘোষের সটান উত্তর, ওরা কি আটকাবে? ওপর দিয়ে হেঁটে গেলাম তো ঘোরার দরকারই ছিল না। আমাদের লোকেরাই ভুল করে নিয়ে গেছে ওখানে। না গেলেই ভোট বেশি হতো আমার। ওরা নিজেরাই জানেনা বুথটার কোথায় কি প্রবলেম। আমি জানলে তো যেতামই না। ডিস্টার্ব হলে আমাদের ভোট ডিস্টার্ব হয়। এরা রাজনীতি বোঝেনা। আমি যেটা চেয়েছিলাম আমি ওদেরকে ডিস্টার্ব করেছি। ভোট পাবলিক দিয়ে দিয়েছে। সোমবারের হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ও তো হবেই, হেরে গেছে। ভোট সব এদিকে চলে আসছে একটা ভোটও আটকাতে পারেনি। পিসফুল যে ভোট হয়েছে, সেটা বর্ধমানে কোনদিন হয়নি। হয়ে গেল। ওরা বুঝে গেল রেজাল্ট কি। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা সম্পর্কে দিলীপবাবু এদিন বলেন, সেন্ট্রাল ফোর্স বুথের মধ্যে ছিল। খুব কড়া ছিল বলে কোন রিগিং হয়নি, ছাপ্পা হয়নি, ভোট কোথাও আটকাতে পারেনি। দু একটা জায়গায় ইভিএম খারাপ ছিল বলে ভোট প্রক্রিয়ায় সমস্যা হয়েছিল।না হলে সব সময় লাইন। ভোট চলেছে, আমি অধিকাংশ বুথেই ঘুরেছি, পিসফুলি। কয়েকটি জায়গায় আমাদের এজেন্ট ঢুকতে দেওয়া হয়নি, মেরে বার করে দেওয়া হয়। সেগুলো দেখেছি কিন্তু ভোট আটকায়নি।পুলিশের যা ভূমিকা থাকে পশ্চিমবাংলায় এখানে পোস্টিং দিয়েছে, আমার বাড়ির সামনে দিয়েছে, কিন্তু যেখানে যাচ্ছিলাম গন্ডগোল হচ্ছিল পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখছিল। তাদের চমকাবার পরে এসেছে। কোন রোল ছিল না। তাহলে এই সমস্ত গন্ডগোল হতো না। আর নির্বাচন কমিশনে আমরা রিপোর্ট করে গেছি। তারা বাইরে থেকে এসেছে । অবজারভার তাদেরকে বলেছি, অনেক জায়গায় ফোর্স পাঠিয়ে চেষ্টা করেছেন।

Advertisement