১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Advertisement

সাংবাদিকতার প্রতি নিষ্ঠা ও দায়বদ্ধতা বর্ধমান জেলার সিনিয়র সাংবাদিককে এনে দিল সরকারি সম্মান

নূতন ভোরের প্রতিবেদন : রবিবার ২০ নভেম্বর ছিল আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস। এই উপলক্ষে এদিন সকালে সল্টলেকের এফডি পার্কে এই দিনটি উদযাপন করা হল। অনুষ্টানের উদ্যোক্তা ছিল পশ্চিম বঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন এবং পশ্চিম বঙ্গ সরকারের নারী ও শিশু বিকাশ এবং সমাজ কল্যাণ দফতর। এদিন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমানের ভারপ্রাপ্ত The Times of India সাংবাদিক মহম্মদ আসিফকে শিশু শ্রী পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

 

Advertisement

 

 

Advertisement

 

 

Advertisement

সাংবাদিক মহম্মদ আসিফ তিন দশকের বেশি সময় ধরে একনিষ্ঠভাবে এই পেশায় যুক্ত আছেন। কখনো পায়ে হেঁটে ও কখনো সাইকেল করে আজও সাংবাদিকতা করে যাচ্ছেন। পেশার প্রতি আপাদমস্তক দায়বদ্ধতা বজায় রেখে বস্তুনিষ্ঠ খবর পরিবেশনের ক্ষেত্রে তাঁর নির্ভীক এবং নির্মোহ মানসিকতা সর্বত্র প্রশংসিত। সেই অপরাজেয় মানসিকতাই তাঁকে অজস্র চড়াই উৎরাই পেরিয়ে সর্ব ভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের সিংহদুয়ার পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে। কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে সাংবাদিকতার প্রাতিষ্ঠানিক পাঠ কলকাতায় । সেখান থেকেই স্বপ্ন দেখার শুরু। জেলায় ফিরে নিজেই শুরু করেন সংবাদপত্র প্রকাশ। একক প্রচেষ্টায় সেই কাগজের সব কিছুই সামলেছেন তিনি। সেই পর্বেই তাঁর নিজের পত্রিকার খবরে আলোড়িত হয়েছে প্রশাসন। সেখান থেকেই সর্ব ভারতীয় ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্থান টাইমস্ পত্রিকায় অবিভক্ত বর্ধমান জেলার সাংবাদিক হিসেবে যোগদান। তারপর একের পর এক বিস্ফোরক সংবাদ পরিবেশন। জেলার সাংবাদিক হয়েও শিক্ষা ক্ষেত্র নিয়ে তাঁর একের পর এক অন্তর্তদন্তমূলক সংবাদ। তাঁর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি তৈরি হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নজির একাধিক। সেই পর্বেই তিনি পেয়েছেন হিন্দুস্থান টাইমস পত্রিকায় Best investigative journalism and breaking news award । সেটা ছিল The HT Award Night -2003 । জেলায় বসে কলকাতায় প্রথম সার্স সংক্রমণের খবর ব্রেক করেন তিনি। সেই সময়ের আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি এবং দেশের বিচারে ওই খবর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। লায়ন্স ক্লাব অব বিজয় তোরন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তাঁকে ২০১১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তাঁকে বিশেষ সংবর্ধনা দেয়। এ ছাড়াও সেরা মানবিক প্রতিবেদন লেখার জন্য Candid Journalism Award-2019 এ Best District Reporting এর শিরোপাও পেয়েছেন তিনি। কলকাতার পার্ক হোটেলে।

সাংবাদিক জীবনের দীর্ঘ ১৮ বছর হিন্দুস্থান টাইমস্ পত্রিকায় কাটানোর পরে তিনি যোগ দেন সর্ব ভারতীয় দৈনিক দি টাইমস্ অফ্ ইন্ডিয়া পত্রিকায় ২০১৭ সালে।

Advertisement