১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Advertisement

শুভেন্দুর নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্যের হলফনামা তলব হাইকোর্টের 

সম্প্রীতি মোল্লা : বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এর এজলাসে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলায় দু সপ্তাহের মধ্যে  হলফনামা চাইল আদালত । এদিন  কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার দু’সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারের কাছে হলফনামা তলব করেছেন।। সেইসঙ্গে আদালত এও জানিয়েছে , -‘ রাত আটটার পর বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে মাইক বাজিয়ে সভা করা যাবে না ‘।জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও নেতাই, বাঁকুড়া এবং কাঁথিতে বারবার তাঁর কর্মসূচিতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এই অভিযোগ নিয়ে কলকাতা  হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  আরও অভিযোগ ছিল, – কাঁথির শান্তিকুঞ্জে তাঁর বাড়িকে বিভিন্ন দিক দিয়ে সিসিটিভি ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে। সারাক্ষণ নজরদারি চলছে। তা ছাড়া শুভেন্দুর বাড়ির সামনে উচ্চস্বরে ডিজে বক্স বাজানো হচ্ছে।বাড়িতে বয়স্ক অভিভাবকরা রয়েছেন । গত ১০ জানুয়ারি নেতাই ঢুকতে পারেননি বিরোধী দলনেতা।শুভেন্দু অধিকারী । হাইকোর্টের রক্ষাকবচ থাকা সত্ত্বেও নেতাইয়ে ঢুকতে পারেননি বিরোধী দলনেতা বলে অভিযোগ । সেদিন নেতাই হত্যাকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করা ও শহিদ বেদীতে মালা দেওয়ার কর্মসূচি ছিল শুভেন্দুর। গন্তব্যের মাঝপথে নন্দীগ্রামের বিধায়ককে আটকে দেওয়া হয়। সেখান থেকে নেতাই না গিয়ে হেঁটে ভীমপুরের পথ ধরেন তিনি। নেতাইয়ে যেতে বাধা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ শুভেন্দুবাবু সেদিনই সংবাদমাধ্যম কে  বলেছিলেন, ‘হাইকোর্টের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁকে নেতাইয়ে ঢুকতে দেওয়া হল না, জবাব দিতে হবে।’ বিজেপির অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও রাজ্য প্রশাসন শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে শুভেন্দুর বিভিন্ন কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। নেতাইয়ে যা হয়েছে তা লজ্জাজনক। পরিকল্পিত বিক্ষোভের জন্য যদি বিরোধী দলনেতাকে আটকে পড়তে হয় তাহলে তা রাজ্য প্রশাসনের কাছেই লজ্জা। এই শুনানিতে আদালত রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল। বৃহস্পতিবার  আদালতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, -‘  নিরাপত্তার জন্যই সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে’। যদিও বিভিন্ন জায়গায় শুভেন্দু কে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে কিছু বলেননি তিনি।সংবিধান বিশেষজ্ঞ আইনজীবী বৈদূর্য ঘোষাল  জানিয়েছেন – ‘বিরোধী দলনেতা রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমতুল্য পদাধিকার। তাই নিরাপত্তার দায়বদ্ধতা রাজ্যের থেকেই যায়’।

Advertisement