নূতন ভোরের প্রতিবেদন : ভিন রাজ্য থেকে এসে সর্বস্বান্ত হয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতা পেয়ে বাড়ি ফিরলেন মোহিত গুপ্ত।
হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মোহিত গুপ্ত বর্তমানে তার ঠিকানা কেরালার কান্নুরে। বর্ধমান জেলায় এসে একটি টোটো চালক তার সবকিছু নিয়ে চলে যায় বলে তার অভিযোগ।
এদিন মোহিতবাবু বর্ধমান বাসস্ট্যান্ডে নেমে একটি টোটো তে বসে স্টেশন আসার উদ্দেশ্যে সেই সময় রাস্তায় শৌচালয়ের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য খোঁজ করতে থাকেন।
মোহিত বাবু তার বক্তব্যে জানান, ওই সময় তার ব্যাগ ওই টোটোর মধ্যেই রাখা ছিল এবং টোটো তে আর কেউ ছিলনা। পরে টোটো টিকে দাঁড়াতে বলে তিনি শৌচালয় থেকে ফিরে এসে দেখেন টোটোটি নেই এবং তার ব্যাগ নিয়েও চলে গেছে। বলে তিনি অভিযোগ করেন।।
এমত অবস্থায় সকাল বেলা থেকেই তিনি দিশাহারা হয়ে ঘুরে বেড়াতে থাকেন সম্পূর্ণ অজানা এক জায়গায়। এবং তার কাছে ন্যূনতম অর্থ ছিল না কিছু খাওয়ার জন্যও। মোবাইল ফোন সহ সবকিছু ওই ব্যাগের মধ্যে থাকায় সবকিছুই খোয়া গেছে বলে তিনি জানান।
পরে পূর্ব বর্ধমান সদর থানায় এই বিষয়ে যোগাযোগ করেন এবং সম্পূর্ণ বিষয়টি প্রাথমিকভাবে একটি জেনারেল ডাইরি পূর্ব বর্ধমান সদর থানা।
এই সমস্ত বিষয়ের জন্য পূর্ব বর্ধমান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুখময় চক্রবর্তী এবং অন্যান্য পুলিশ অফিসার এবং কর্মীরা তাকে আইনের দিক সাহায্য করেন বলে তিনি তার বক্তব্যে বলেন। তিনি এও জানান, এই সময় বর্ধমান সহযোদ্ধা নামে একটি সংগঠন মোহিত বাবুকে কেরালার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার জন্য আর্থিক ভাবে এবং রাস্তায় খাওয়ার জন্য খাদ্য সামগ্রী, জল, ইত্যাদি কিনে তাকে স্টেশনে পৌছিয়ে দেন।
এ বিষয়ে বর্ধমান জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে, এবং মোহিত গুপ্তের হারানো ব্যাগ যাতে উদ্ধার হয় তার জন্য তারা তদন্ত শুরু করেছে।
এই বিষয়ে বর্ধমান সহযোদ্ধার সহ-সভাপতি মেহবুব হাসান তার বক্তব্যে জানান, বর্ধমান সহযোদ্ধা সারা বছর ধরে এই প্রকারের সমাজসেবামূলক কাজ করে আসছে। তারা মহিত বাবুকে সহযোগিতা করতে পেরে খুবই খুশি হন। এবং মেহবুব বাবু আরো জানান পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ এই বিষয়ে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন যাতে মোহিতবাবু আইনের দিক থেকে সব রকমের সুবিধে পান।
ভিন রাজ্য থেকে এসে মোহিতবাবু পূর্ব বর্ধমান সদর থানার সহযোগিতা এবং বর্ধমান সহযোদ্ধার সহযোগিতা পেয়ে খুবই অভিনন্দন জানান।