১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Advertisement

‘বসন্ত উৎসব’ উদযাপনে রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটি

নিজস্ব প্রতিনিধি : সম্প্রতি  জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি ‘রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটি’ র উদ্যোগে বসন্ত উৎসব পালিত হলো হুগলী জেলার জনাই তে।  ‘শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ সেবা কুঞ্জ মন্দির’ প্রাঙ্গনে এই বসন্তোৎসব হয়। এবারও  এই বসন্ত বন্দনা উৎসব উদযাপিত হল চির পরিচিত জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি অঙ্গন ছেড়ে বাইরে – দূরে – কোলাহলমুক্ত, ছায়াসুনিবিড় গাছগাছালি পূর্ণ, নির্মল খোলামেলা অনিন্দ্যসুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে। ওখানকার রাধাগোবিন্দ মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা স্বনামধন্য কীর্তন গায়ক শ্রী অনিল কুমার ভট্টাচার্য্য মহাশয়ের সবিশেষ অনুরোধে, আগ্রহ আর ঐকান্তিক আহ্বানে সাড়া দিয়ে সোসাইটি এ বছরের বসন্ত উৎসব ঐ পুণ্যধামে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। রাজ্যের বিভিন্ন  জায়গা থেকে সড়কপথে, ট্রেনপথে সোসাইটির শতাধিক সদস্য/সদস্যারা ওইদিন সকাল সাড়ে এগারোটার সময়ে ওখানে পৌঁছে একসাথে মিলিত হয়ে একযোগে অনুষ্ঠান শুরু করে থাকেন। প্রথম পর্যায়ে রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটির কেতন উড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে সারিবদ্ধ হয়ে ফুল আবির ছড়িয়ে বসন্তের ওপর রচিত তিনটি রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে মন্দির প্রাঙ্গনের প্রবেশ পথ থেকে শোভাযাত্রা সহকারে পরিক্রমা শুরু হয়। মন্দির প্রাঙ্গন প্রদক্ষিণ করে বাইরের রাস্তা ঘুরে আবার মন্দির অঙ্গনে সকলে সমবেত হয়ে একে অপরকে আবিরে রাঙিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন আগতরা। এরপর শুরু হয় মূল মন্দিরের গর্ভগৃহের প্রশস্ত চত্বরে বসে সঙ্গীত, আবৃত্তি, নৃত্য ইত্যাদি যোগে নানা পরিবেশনা। সোসাইটির সদস্য/সদস্যারা যৌথভাবে আবার এককভাবে পরিবেশনা করেন মূলত রবীন্দ্রসঙ্গীত, রবীন্দ্রকবিতা, রবীন্দ্রনৃত্য। এছাড়া ও নানা ভক্তিগীতি, কীর্তন, লোকগীতি, বাউলগান ইত্যাদি গাওয়া হয়। শেষ পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয় মন্দির কর্তৃপক্ষের ভক্ত, পার্ষদ ও শিল্পীদের দ্বারা পরিবেশিত নানা ধরণের ভক্তিমূলক গান, বাদ্য বাজনা ইত্যাদি সহযোগে। শ্রীখোল, মন্দিরা, কর্ত্তাল বাজিয়ে মধুর ঝঙ্কারের ঢেউ তুলে উৎসব প্রাঙ্গন মুখরিত হয়ে ওঠে – অপূর্ব ব্যঞ্জনাময় এক স্বর্গীয় উন্মাদনার পরিবেশ অনুভূত হয়।

 

Advertisement

 

 

Advertisement

রাধামাধব মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী অনিল কুমার ভট্টাচার্য্য মহাশয় তাঁর সুললিত কণ্ঠে একটি পদাবলী কীর্তন গেয়ে সকলকে মন্ত্রমুগ্ধ করেন।

 

Advertisement

 

 

Advertisement

 

 

Advertisement

এরই মাঝে মন্দিরের ইষ্টদেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদিত অন্নভোগ প্রসাদরূপে গ্রহণ করেন উপস্থিত সকল মানুষজন। সার্বিক ও সর্বাঙ্গসুন্দর এই আয়োজনের সফল রূপায়নের জন্য  রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটির তরফে মন্দির কর্তৃপক্ষ, বসন্ত উৎসবে যোগদানকারী সোসাইটির সকল সদস্য/সদস্যা এবং সংশ্লিষ্ট সকল মানুষজনকে অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা, ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানান সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়।

Advertisement