নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলার ওপর মোদিবাবুদের খুব রাগ। যত পারো তত বাংলাকে খাটাও, অত্যাচারিত করো। শুধু মিথ্যা বলে। মধু বিধু দুই ভাই।
মোদিবাবুর কথায় ইলেকশন চলছে। আর বাংলাকে পুড়িয়ে মারছে। এদিন এমনই ভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপিকে রাজনৈতিক ভাষায় আক্রমণ করেন মেমারীর গন্তার ফুটবল মাঠে বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ডা. শর্মিলা সরকারের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় জানান, মেমারিতে আসলে করন্দার কথা মনে পড়ে। ৪ জনকে পিটিয়ে খুন করেছিল। একটা বাচ্চাকে খুন করে মুড়ির টিনে ভরে দিয়েছিল। মমতা বলেন, মোদিবাবুদের কথায় ইলেকশন কমিশন গরমে পুড়িয়ে মারছে। ৭ তারিখ আবার ভোট আছে। চেন্নাইয়ে ৪০ টা সিট একদিনে ভোট হয়ে গেল। আর বাংলার ওপর মোদিবাবুদের খুব রাগ। যত পারো তত বাংলাকে খাটাও, অত্যাচারিত করো। মমতা বলেন, শুধু মিথ্যা বলে। মধু বিধু দুই ভাই। বিনা পয়সায় গ্যাস দিচ্ছে বলে মিথ্যা বলছে। বলছে ঘরে ঘরে জল পৌঁছাচ্ছে। জমি রাজ্যের, রক্ষণাবেক্ষণ রাজ্যের, পাইপ রাজ্যের। ওরা কিচ্ছু করেনি। যা করার রাজ্য সরকার করেছে।কোনো কারণে যদি ওরা ক্ষমতায় আসে কি হবে জানিনা।
গরিবের কথা জানে না। শ্রমিকদের কথা ভাবে না। ৩ বছর ১০০ দিনের কাজে টাকা দেয়নি। বাড়ি, রাস্তা, স্টিল ইন্ড্রাষ্ট্রি, স্মল ইন্ড্রাষ্ট্রিতেও বাংলা ১ নম্বরে। তিনি বলেন, বিজেপি চেয়েছিল ফুড কর্পোরেশনের পচা চাল রেশনে দিই। কিন্তু আমরা চেয়েছি কৃষকদের কাছ থেকে ভাল চাল কিনে দিই। তাই দিচ্ছি। ৯ কোটি মানুষকে আমরা রেশন দিচ্ছি। কেন্দ্র জিএসটির ট্যাক্স তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে। ৬ লক্ষ ৮৪ হাজার কোটি টাকা। আমাদের টাকা দিচ্ছে না ৩০ হাজার কোটি টাকা বকেয়া। কেন্দ্র কিছু দেয়নি। যা দিয়েছি আমরাই। অথচ সকাল সন্ধ্যে ওনার ছবি। মাছ,ডিম মাংস খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটকে।
ওগুলো খাবে না তো কি খাবে? বার্লি খাবে, কলাপাতা খাবে? এদিন মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ায় মমতা যাঁরা ভাল ফল করেছেন তাঁদের শুভেচ্ছার পাশাপাশি যাদের রেজাল্ট খারাপ হয়েছে তাদের হতাশ না হবার আবেদন করেছেন। ওরা আবার ভাল ফল করবে। মমতা এদিন বলেন, কর্মশ্রী প্রকল্প চালু করেছি। ৫০ দিন কাজ পাবেই। প্রয়োজনে ৬০ দিনের কাজও পাবে। তিনি বলেন, বাংলা আবাসে ১১ লক্ষ মানুষের বাড়ির টাকা ডিসেম্বরে পেয়ে যাবেন। মমতা এদিন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের উল্লেখ করে বলেন, মিউটেশনে এখন আর টাকা দিতে হয়না। কৃষকের ফসলের জন্য বীমা করা হয়েছে। মমতা এদিন ঘোষণা করেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য আলাদা হেল্থ কার্ড দেবো। যাতে তারা যেখানে থাকে সেখানেই চিকিৎসা করাতে পারে।
ওদের ভোটটা দিতে বলবেন। তিনি বলেন, ৬০ এর ওপর লক্ষ্মীর ভান্ডার ২ চালু হয়েছে। বার্ধ্যক্যভাতা চালু হয়েছে। মমতা বলেন, বাংলায় সিপিএম কংগ্রেসের জোট নেই ঘোঁট আছে। এদিনও তিনি বিজেপিকে হুংকার দিয়ে বলেন, বিজেপিকে ক্যা, এন আর সি করতে দেব না। সংবিধান নষ্ট করতে দেব না। অন্যদিকে, বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী ডা. শর্মিলা সরকারকে নিয়ে যে অপপ্রচার চলছে এদিন তাও খণ্ডন করেন মমতা। তিনি বলেন, শর্মিলা খুব ভাল মেয়ে। ও পড়াতো। ও চাকরি ছেড়ে এসেছে। যেহেতু ওই দপ্তরটা আমি নিজেই দেখি তাই আমি ওর পদত্যাগ গ্রহণ করেছি। ওটা আমাকেই দেখতে হয়। যারা বলছে ও জিতে পালাবে। সেটা মিথ্যা। এদিন এই সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, স্বপন দেবনাথ সহ অন্যান্যরা।