১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Advertisement

বসন্ত উৎসবে মাতোয়ারা কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়

নূতন ভোরের প্রতিবেদন : করোনার রেস কাটিয়ে আবার স্বাভাবিক ছন্দে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। বসন্ত উৎসব উপলক্ষে আনন্দে মাতোয়ারা কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক এবং শিক্ষকবৃন্দ। সকাল ১১.৩০ নাগাদ পায়ে হেঁটে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর পরিক্রমার মাধ্যমে উৎসবের শুভ সূচনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মানসকুমার সান্যালের সক্রিয় উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিকটস্থ মুক্তমঞ্চে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক, শিক্ষকবৃন্দের অংশগ্রহণ ও উন্মাদনা ছিল চোখে দেখার মত। সমগ্র অনুষ্ঠানটি ছাত্র কল্যাণ দফতর এবং প্রকাশন ও জনসংযোগ বিভাগ, ছাত্র-ছাত্রী ও গবেষকবৃন্দের যৌথ প্রচেষ্টায় অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। উপাচার্য মানসকুমার সান্যাল জানান, বসন্তের আগমনে বিশ্ববিদ্যালয়ে বসন্ত উৎসব ২০২২ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের মধ্যে সমন্বয়ের ব্যবস্থা করবে, যা বিশ্ববিদ্যালয় সামগ্রিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা নিবে বলে মনে করি। সহ-উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম পাল জানান, বসন্ত উৎসব পালনের মাধ্যমে জীবনের স্পন্দন ধ্বনিত হয়। সমবেতভাবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

 

Advertisement

 

 

Advertisement

 

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক হেরিটেজকে এইভাবে সকলের সামনে তুলে ধরতে হবে। বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিবন্ধক ড. দেবাংশু রায়, আইকিউএসির অধিকর্তা অধ্যাপক নন্দকুমার ঘোষ, লোকসংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সুজয়কুমার মন্ডল, দূরশিক্ষা কেন্দ্রের অধিকর্তা অধ্যাপিকা তপতী চক্রবর্তী, ফিনান্স অফিসার শ্রী মৃদুল কুণ্ড। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য আধিকারিক এবং বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক ও অধ্যাপিকারা উপস্থিত ছিলেন। আয়োজকদের পক্ষ থেকে প্রকাশন ও জনসংযোগ বিভাগের অধিকর্তা অধ্যাপক সুজয়কুমার মণ্ডল জানান, এই ধরনের অনুষ্ঠান ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে হৃদ্যতাবোধ গড়ে তুলবে। দীর্ঘদিন বাদে উপাচার্যের সক্রিয় উদ্যোগে বেশ সাফল্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয়ভাবে বসন্ত উৎসব উদযাপিত হল।

Advertisement

 

 

Advertisement

 

প্রকাশন ও জনসংযোগ বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় সামগ্রিক উন্নয়নে ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক, শিক্ষক ও কর্মচারীদের মধ্যে সমন্বয় রক্ষার ব্যাপারে উদ্যোগ নেবে। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এই অনুষ্ঠানে উন্মাদনা ছিল চোখে ধরার মতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও গবেষকরা তাদের বিভিন্ন সৃষ্টিশীল অঙ্গিকের প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি কে সাফল্যমন্ডিত করে তুলেছে। এমন ধরনের অনুষ্ঠান আরো ঘন ঘন হোক এমনটাই তাদের আবদার।

Advertisement