১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Advertisement

পল্লিকবির কলকাতার বাড়িতে ‘কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি ‘

পারিজাত মোল্লা : আপামর বাঙালির কাছে “বাড়ি আমার ভাঙ্গন ধরা অজয় নদের বাঁকে, জল যেখানে সোহাগ করে স্থল কে ঘিরে রাখে’ কবিতার লাইন অত্যন্ত পরিচিত। প্রতি বছর ৩ রা মার্চ পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবির বসতভিটা মধুকর প্রাঙ্গণে কুমুদ সাহিত্য মেলা হয়ে থাকে।টানা ১৩ বছর এই সাহিত্য বিষয়ক মেলার আয়োজন করে আসছেন সাংবাদিক মোল্লা জসিমউদ্দিন ও তাঁর সহৃদয় বন্ধুরা। পল্লিকবির কলকাতার লেকটাউনে বংশধরদের বাড়িরও নাম ‘মধুকর’। এই বাড়ি জজসাহেবের বাড়ি হিসাবেও পরিচিত। কেননা কবির নাতি সুধেন্দ্রনাথ মল্লিক ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। তিনি নিম্ন আদালতে দীর্ঘদিন বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। সম্প্রতি তিনি কলকাতার বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত সপ্তাহে প্রয়াত বিচারপতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে এবং আসন্ন কুমুদ সাহিত্য মেলার প্রাক প্রস্তুতি নিতে লেকটাউনে গিয়েছিল কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি।

 

Advertisement

 

 

Advertisement

 

কমিটির সম্পাদক মোল্লা জসিমউদ্দিন, কোর কমিটির অন্যতম তিন সদস্য জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়, বৈদূর্য ঘোষাল এবং মহাশ্বেতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন এই সভায়।প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের ফৌজদারি বিশেষজ্ঞ আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় গতবারের ‘কুমুদ সাহিত্য রত্ন’ সম্মান পেয়েছিলেন। আরেক খ্যাতিমান আইনজীবী বৈদূর্য ঘোষাল মেলা কমিটির কার্যকরী সভাপতি পদে রয়েছেন। সাহিত্যিক মহাশ্বেতা বন্দ্যোপাধ্যায় পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের নিকটাত্মীয় এবং কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির ‘রত্ন সম্মান’ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ বিচারকমণ্ডলীর একজন সদস্যা।

Advertisement

 

 

Advertisement

 

আসন্ন কুমুদ সাহিত্য মেলায় রত্ন সম্মান এবং অতিথিদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত, আইনজীবী জয়দীপ মুখার্জি, সঙ্গীত পরিচালক অশোক রুদ্র, সাহিত্যিক আরণ্যক বসু, মঙ্গলকোটের জনপ্রিয় বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী, লোকসংস্কৃতি গবেষক আইপিএস সুখেন্দু হীরা, পার্থ চৌধুরী, অরুপ লাহা, রফিকউদ্দিন, মোল্লা শফিকুল ইসলাম ( সাংবাদিক), সমাজকর্মী প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য, বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের শ্যামল ঘটক, কলকাতা হাইকোর্টের এজিপি আনসার মন্ডল, রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটির সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়, বিধান শিশু উদ্যানের সম্পাদক গৌতম তালুকদার, কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী শীর্ষেন্দু সিংহরায়, মাসুদ করীম প্রমুখদের নাম উক্ত সভায় বারবার আলোচিত হয়েছে।

Advertisement