নূতন ভোরের প্রতিবেদন : সৌমিত্র খাঁ-কে নিয়ে কিছু বলতে রুচিতে বাধে ।
এদিন রবিবাসরীয় প্রচারে বিষ্ণুপুর লোকসভার অধীন বর্ধমানের খণ্ডঘোষে এসে এভাবেই একদা জীবনসঙ্গী সম্পর্কে ঘৃণা ব্যক্ত করে গেলেন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল। এদিন প্রচারে বেড়িয়ে সুজাতা মণ্ডল বাড়ি বাড়ি ঢুকে বাড়ির মহিলাদের তিনি জিজ্ঞাসা করেন, দিদিরা লক্ষীর ভান্ডার ঢুকে গেছে তো? এবার থেকে বেড়ে যাবে, আগামী মাস থেকে। এদিন তিনি বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের খন্ডঘোষের বোসপাড়ায় শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগ ও দলের ব্লক সভাপতি অপার্থিব ইসলামকে নিয়ে এলাকায় জনসংযোগ করেন। একই সঙ্গে বিধায়ক অফিসের পাশে প্রচুর কর্মী সমর্থকদের নিয়ে একটি জনসভাও করেন সুজাতা মন্ডল।
তিনি বলেন, আমি মমতা’দির সৈনিক,আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক, আমি তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিক। গ্রাম বাংলা ও আমার এই বিষ্ণুপুর লোকসভার এই খণ্ডঘোষ বিধানসভার এমন একটি ঘর খুঁজে পাওয়া যায় নি বা যাবে না যেখানে মমতা’দির উন্নয়নের প্রকল্প পৌঁছায়নি। একই ঘরে একাধিক মানুষ এবং মহিলারা বিশেষত সম্মানিত। বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ কখনো ট্রেনে কখনো সাইকেল চালিয়ে প্রচার করা সম্পর্কে সুজাতা বলেন, বিজেপির প্রার্থী কি বলবেন? আসলে এতদিন তিনি রাস্তাঘাটে নামেননি শুধু বিলাসিতা করেছেন তাই এখন অনেক কিছুই করতে হচ্ছে।
এইসব ভেকধারি করে কোন লাভ হবে না, ভেকধারি নাগিনদের মানুষ বুঝে গেছে। যতই উনি নাটক করে যান ভোট উনি পাবেন না। খণ্ডঘোষ বিধানসভা থেকে সাংসদ হয়ে তিনি কোন উন্নয়ন করেননি, কোন কাজ করেননি। উনি নির্লজ্জ বলেই মানুষের কাছে ভোট চাইতে আসছেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ খণ্ডঘোষে এসে বলে যান, বালি মাফিয়ারাই তৃণমূল দলটা চালাচ্ছে। প্রশাসন এই বালি মাফিয়াদের সঙ্গে যুক্ত আছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখান থেকে কোন ভোট পাবে না। এর উত্তরে সুজাতা বলেন, ২০১৯ সালে কি উনি সবথেকে বড় বালি মাফিয়া ছিলেন? উনার কি কি কেস ছিল? প্রশ্ন করবেন। উনি অন্যের দিকে আঙ্গুল তুলছেন কি করে, ওনার অত অঢেল বিপুল সম্পত্তি হলো কি করে? ওনাকে চালুনি হয়ে ছুঁচকে বিচার করতে বারণ করুন।