মান্টি ব্যানার্জি :সারা বছর বিভিন্ন মানবিক ও সামাজিক কর্মসূচির পালনের মাধ্যমে মানুষের পাশে থাকে বড়শুল কিশোর সংঘ।
এলাকার গরীর মেয়ের বিবাহের আয়োজন, কয়েকটি থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার ও ভিলেজ পুলিশদের দূর্ঘটনা জনিত বীমা শংসাপত্র করে দেওয়া, শীতবস্ত্র বিতরন, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, সংঘের নিজস্ব লাইব্রেরী ও জিম সেন্টার, সরকারি বিভিন্ন সচেতনতার শিবিরের আয়োজন, করোনার সময় দুঃস্থ মানুষদের শুকনো খাদ্য সামগ্রী বিতরন, মাক্স, স্যানিটাইজার বিতরন, নিজস্ব ভলিবল দল তৈরি করে বর্ধমান জেলা ভলিবল লীগে ও নকআউট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ, ১০০০ মানুষের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় রেজিস্ট্রার,করোনা কালে ও বর্তমানে বিনামূল্যে ৫ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার পরিষেবা চালু রাখা সহ একাধিক উদ্যোগ গ্রহন করে পূর্ব বর্ধমান জেলায় সামাজিক দায়িত্ব পালনে অগ্রনী ভূমিকায় দেখা যায় বড়শুল কিশোর সংঘকে। আবারও আজ একটি মহৎই মানবিক কর্মসূচির আয়োজনের উদ্যোগে বড়শুল কিশোর সংঘ। আসন্ন গরমের কথা চিন্তা করে আজ সান্ধ্যকালীন একটি সেচ্ছায় রক্তদান হয়ে গেলো ক্লাবের সম্মুখীন ময়দানে ও কিশোর মঞ্চে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ব্লাড ব্যাঙ্ক সেন্টারকে ৫০ ইউনিট ও ক্যামরী ব্লাড ব্যাঙ্ক সেন্টারকে ৫০ ইউনিট করে মোট ১০০ ইউনিট রক্ত তুলে দেওয়া হয়।
আজকের রক্তার্পণ উৎসব প্রদীপ প্রজ্বলনের শুভ উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক, বর্ধমান ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরুণ গোলদার, বর্ধমান মহিলা থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ বনানী রায়, বড়শুল ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান রমেশ চন্দ্র সরকার, ওয়েস্ট বেঙ্গল ভলেন্টারী ব্লাড ডোনারস্ ফোরামের পদস্থ পদাধিকারিক কর্মকর্তাগন। ক্লাবের সভাপতি প্রবীর কুমার দাঁ ও সম্পাদক পার্থ ঘোষ জানান “রক্তদান জীবনদান” ও “মানবতার জন্য রক্তদান” এই দুটি মানবিক কথা কে প্রাধান্য দিয়ে আমরা ১০০ ইউনিট রক্তের সংগ্রহের লক্ষমাত্রা রেখে রক্তার্পণ উৎসব।২০২৩ এর আয়োজন করেছি। আমাদের লক্ষ্য এলাকার কোনো রুগী ও পরিবারের সদস্যরা যেনো রক্তের অভাবে বিপদে না পড়েন। রক্তদান শিবির চলাকালীন সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিলো যাতে রক্তদাতারা একটি সুস্থ পরিবেশে রক্তদান করতে পারেন।
এছাড়াও আজকের অনুষ্ঠানে জেলার ৫ টি সামাজিক সংস্থাকে রক্তযোদ্ধা সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। এছাড়াও খন্ডঘোষ থানার সগড়াই গ্রামের মহিলা ফুটবল খেলোয়াড় কে “জেলার অন্যান্য” সম্মাননা সম্মানে সম্মানিত করা হয়। মল্লিকা অনুর্দ্ধ ১৪, অনুর্দ্ধ ১৭ ফুটবল খেলায় অনুর্দ্ধ ১৪ খো খো খেলায় রাজ্য বাংলা দলের হয়ে জাতীয় পর্যায়ের খেলায় প্রতিনিধিত্ব করেছে। বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক ও মহিলা থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ বনানী রায় বলেন বড়শুল কিশোর সংঘ যেভাবে সমাজের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে যাচ্ছে একদিন এই ক্লাব বহুদূর যাবে।