সঞ্জয় মন্ডল:-পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লকের কাটার গ্রামে ঘটে গেলো ভয়াবহ অগ্নিকান্ড। রাত্রে সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়েছিল তখন আনুমানিক রাত্রি একটা নাগাদ ভাতার ব্লকের কাটার গ্রামের বাসিন্দা সনৎ রায়ের বাড়িতে হঠাৎই আগুন লেগে যায়,আগুন কিভাবে লেগেছে তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।তবে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে গোয়ালে মশা তাড়ানোর জন্য প্রতিদিনই ধোঁয়া করা হতো,এই ধোঁয়া থেকেই আগুনের উৎপত্তি। প্রথমে সনৎ রায়ের গোয়ালে আগুন লেগে যায় এবং বাড়ি গোয়ালের খুবই কাছে থাকার কারণে ওই আগুন তার বাড়িতেও ছড়িয়ে পড়ে এবং সমস্তটাই ভষ্মিভূত হয়ে যায়।কোনো কিছু বার করে নেওয়ার মত সুযোগ হয়নি।এরপর সনত রায় পাড়া-প্রতিবেশীকে ডেকে নিয়ে আসে এবং প্রতিবেশীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও সম্পূর্ণরূপে আগুনকে আয়ত্তে আনা যায়নি।সমগ্র বাড়ি এবং গোয়াল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। গোয়ালে থাকা গবাদি পশু সহ,বাড়ির পোষা ছাগল,ভেড়া,মুরগি,হাঁস গরু আগুনে পুড়ে ভশ্মীভূত হয়ে যায়।
মারাত্বক ভাবে জখম হওয়া দুটি গরু কোনক্রমে প্রাণী বেঁচে যায়।বাড়ির লোকজনও কোনরকম ঘর থেকে বেরিয়ে প্রাণে বাঁচে। ভষ্মীভূত হয়ে যায় বাড়ির সমস্ত খাদ্য সামগ্রী এবং আসবাবপত্র পরনের পোশাক।বাড়ির মালিক সনত রায়ের বক্তব্য অনুযায়ী প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে এই গবাদি পশু এবং হাঁস মুরগি পালনই ছিল তার একমাত্র জীবিকা। এই অপূরণীয় ক্ষতিতে তার সংসার চালানো বড়ই মুশকিল হয়ে পড়বে।
খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনা স্থলে পৌঁছায় ভাতার থানার পুলিশ প্রশাসন,ফায়ার ব্রিগেড এবং প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তর,ঘটনাস্থলে হাজির হন ভাতার বিধানসভা বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী,প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ,পঞ্চায়েত উপ-প্রধান এবং পঞ্চায়েত সদস্য সকলেই। কাটার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য পার্থ সারথি মন্ডল স্থানীয় বিধায়কের সঙ্গে কথা বলে এই দরিদ্র পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করবেন বলে আশ্বাস দেন।