নিজস্ব প্রতিনিধি : এদিন সন্দেশখালিতে অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে এবং এনএসজি অপারেশন সম্পর্কে বলতে গিয়ে এমনই বক্তব্য রাখেন মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, গোটা রাজ্যেই এই ধরণের তল্লাশি করতে হবে।
অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী এ দিন
বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের সমর্থনে মেমারীর সাতগেছিয়া বাজারে রোড শো করেন। পরে বর্ধমান ২নং ব্লকের পালসিট গ্রামে একটি সভাতেও অংশ নেন।
তিনি বলেন, রোবট দিয়ে তল্লাশি করতেই হবে এখন, আর কোনও উপায় নেই। পশ্চিমবঙ্গের সব জায়গায় এইভাবে তল্লাশি করা উচিত। এব্যাপারে দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, আমি বলেছিলাম সাজাহান সিপিআই(এম)-এর আমলে পিস্তল নিয়ে ঘুরতো এখন একে ৪৭ নিয়ে ঘোরে। এখনও অস্ত্রশস্ত্র বোম-বন্দুক আছে। একজন লুকিয়ে আছে ওকে ঠেঙালে সব বের হবে। আগে অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে না হলে ভোটে অনেক জীবন হানি হবে। অনেক কিছু আছে আমরা জানি। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস এখনও সেগুলো বাঁচাবার চেষ্টা করছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন, সিবিআই, ইডি যারা তদন্ত করছে তাঁদের দায়িত্ব এসমস্ত উদ্ধার করা। তানাহলে আবার আর একটা সাজাহান তৈরি হবে। আবার জীবনহানি হবে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে যা করা হয় তাই করা উচিত। সন্দেশখালি মাটি সব খুঁড়ে দেওয়া উচিত। শাহাজাহান যত জমি, যত ভেরি দখল করেছে সব জায়গায় অস্ত্র রাখা হয়েছে। সব উদ্ধার করতে হবে।
দিলীপবাবু এদিন ঘোষণা করেন আগামী ৩ মে প্রধানমন্ত্রী, ৩০ এপ্রিল অমিত শাহ আসছেন দুর্গাপুরে। শুভেন্দু অধিকারীও আসবেন। অনেক বড়বড় নেতা আসবেন। বর্ধমানকে আমরা দেখিয়ে দেবো তৃণমূল কংগ্রেসকে জবাব দেওয়ার জন্য।
এদিন সাতগাছিয়া বাজার এলাকায় মিঠুনের রোড শো নিয়ে দিলীপবাবু বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বোধহয় এত বড় মিছিল কেও করতে পারেনি। মন্তেশ্বর বিধানসভায় আমরা প্রায় ৩০ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিলাম। সেখানে আজ প্রায় ৫০ হাজার লোক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও করতে পারবেন না।