পাপিয়া বারুই :১৯৪৮ সালের ৩০শে জানুয়ারি সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতে নৃশংসভাবে খুন হন স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদী নেতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। গান্ধীজীর হত্যার এই দিনটিতে রাজ্যের সর্বত্র সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দিবস পালনের আহ্বান জানিয়েছিলেন রাজ্য বামফ্রন্ট কমিটি। সেই আহ্বানের সাথে সাযুজ্য রেখেই আজ বিকেলে বাঁকুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র মাচানতলা মোড়ে এই দিনটি উদযাপন করলেন বাঁকুড়া জেলা বামফ্রন্ট কমিটি। মাচানতলা মোড়ে মুক্তিমঞ্চে সিপিআইএম নেতা অশোক ব্যানার্জীর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত হলো একটি সভা। সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই নত্রী সর্বাণী সিনহা, আরএসপি নেতা গঙ্গা গোস্বামী, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা অসিত শর্মা এবং সিপিআইএম নেতা প্রভাত কুসুম রায় ও প্রতীপ মুখার্জী।
বক্তারা গান্ধীজীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন জাতপাত জাতিধর্ম নির্বিশেষে দেশের মানুষকে স্বাধীনতা সংগ্রামে সামিল করেছিলেন তা ছিল বৃটিশদের দালাল আরএসএসএর কাছে অসহনীয় তাই ধর্মের ভিত্তিতে দেশকে বিভক্ত হওয়ার পরেও তাদের সাম্প্রদায়িক এজেন্ডা সফল করতে তারা পরিকল্পনা করেই নৃশংসভাবে খুন করেছিল গান্ধীজীকে। বক্তারা আরো বলেন যে বিরোধীদের ভোট বিভাজনের সুযোগ নিয়েই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধী তথা গান্ধীজীর হত্যাকারীদের দলই গত প্রায় নবছর ভারতের শাসন তখত দখল করেছে আর দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে জনগনকে দেওয়া একটি প্রতিশ্রুতিও পালন না করে দেশকে ঠেলে দিচ্ছেন ধ্বংসের পথে। তারাই একদিকে নেমে পড়েছে ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে বিভাজনের পথে অন্যদিকে গান্ধীজীর ভূমিকাকে গৌণ করে তুলতে তাঁর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের মুর্তিস্থাপন তথা তার স্মরণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে গৌরাবান্বিত করার পথে। আর রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস মুখে বিজেপির বিরোধীতা করলেও প্রকৃত অর্থেই হয়ে উঠেছে তাদের বিশ্বস্ত দোসর। – সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিহত করা তথা দেশ ও রাজ্যকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার স্বার্থে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সমস্ত বাম, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ ঐক্যকে শক্তিশালী করার আহবান সভা থেকে জানানো হয়।