সনাতন গড়াই ,পশ্চিম বর্ধমান : পাঁচ বছরের জন্য এখানে এসেছি। যারা ঝামেলার সৃষ্টি করছেন তারা এখন থেকেই সাবধান হয়ে যান। না হলে চার জুনের পর হিসাব হবে। গদা নিয়ে কাউকে উৎখাত করতে হয় না দেখলেই উৎখাত হয়ে যায়। সাতসকালে কাঁধে গদা নিয়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিলেন দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার হনুমান জয়ন্তীর দিন দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীর বি-জোন বয়েজ ক্লাবের মাঠে প্রাত: ভ্রমণে আসেন তিনি। সেখানেই দলীয় কর্মীদের দেওয়া গদা কাঁধে নিয়ে প্রাত:ভ্রমণ করেন। মহিলাদের সাথে আলাপচারিতা করেন। সমস্যার কথা শোনেন। যুবকদের সাথে ক্রিকেট এবং ফুটবলও খেলেন। তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে নাম না করে আক্রমণ করে বলেন,”যারা সারা দেশের সন্ত্রাসবাদীকে জায়গা দিয়েছে।
সন্ত্রাসবাদীদের নিয়ে যারা ঘুরে বেড়াই, শাজাহানের মত সন্ত্রাসবাদীকে কে পুষেছে? তাঁদেরকে কে মারবে? এই প্রশ্ন তুলে বলেন নির্বাচনের আর কোন কিছু নেই এখন প্রাণের ভয় তাই পুলিশকে ফিট করেছে। এই বলো তাই বলো এই সব সহানুভূতির ভোট চলে গিয়েছে, আমার ঠ্যাং ভেঙেছে চলে গিয়েছে, মাথা ফেটেছে চলে গিয়েছে, এখন আমাকে মারছে বলছে। পাশ দিয়ে কুকুরের চলে গেলে আপনাকে দেখবে না এমন চরিত্র হয়ে গিয়েছে আপনাদের।”তারপরেই বর্ধমান দুর্গাপুরের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদকে আক্রমণ করে বলেন,”আজ তার মনোনয়ন দাখিলের দিন। মনোনয়ন দাখিল করার আগেই প্যাকিং হয়ে যাবেন। তাদের নেতারা বুঝতে পারছেন পাবলিক আসছে না কর্মীরা সঙ্গে নেই। তাই কি করবে ভেবে না পেয়ে বিজেপির সাথে গায়ে পড়ে ঝগড়া করছে।
দিলীপ ঘোষ এসেছে, ভেবেচিন্তে হাত দাও। ৪ই জুনের পর পাঁচ বছর থাকার জন্য এখানে এসেছেন। এসব কিন্তু তখনো বুঝিয়ে দেবেন।” ২০১৬ এসএসসি নিয়োগ বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন,”১২ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের সব দপ্তর আস্তে আস্তে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। যে পরীক্ষা দিল না পাস করল না সেই যদি চাকরি করে তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কি তৈরি হয়েছে। আর ক্ষতি না হোক সেটাই আমরা চাইবো।”